
Coronavirus | সামান্য স্বস্তি, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজারে নামল
নয়াদিল্লি: প্রতিনিয়ত দেশে (India) বাড়ছে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ। পাশাপাশি বাড়তে শুরু করেছে মৃত্যুর হারও। যা রীতিমতো কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে প্রশাসন থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। তবে নতুন সপ্তাহের শুরুতে মিলল স্বস্তি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ১৭৮ জন। কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা (Active Cases) ৬৭ হাজার ৮০৬ থেকে কমে ৬৫ হাজার ৬৮৩ হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ হাজার ১১ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক কর্তৃক প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, রবিবার দেশে করোনা সংক্রমণ ১০ হাজারের গণ্ডিতেই ছিল। তবে এ দিন এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যায় আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি করোনায় মৃতের সংখ্যাও এক ধাক্কায় অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। এরমধ্যে কেরলে একদিনে করোনা সংক্রমণে ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এই নিয়ে দেশে মোট করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৩১ হাজার ৩৪৫ হয়েছে। বর্তমানে দেশে সংক্রমণের হার ৯.১৬ শতাংশ। সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ৫.৪১ শতাংশে পৌঁছেছে। দেশে করোনায় সুস্থতার হার ৯৮.৬৭ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১.১৮ শতাংশ।
হঠাৎ করে করোনার এই ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের জন্য চিকিৎসক-গবেষকরা করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এক্সবিবি.১.১৬- কেই দায়ী করেছেন। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, বিগত তিন বছরে করোনা সংক্রমণ ও টিকাকরণের কারণে হাইব্রিড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে গিয়েছে। করোনার এই ভ্য়ারিয়েন্ট অতি সংক্রামক হলেও, সংক্রমণ গুরুতর আকার ধারণ করছে না এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হারও কম। সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত দেখেই ইতিমধ্যেই দেশের সব রাজ্যকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। বিশেষ করে তামিলনাড়ু, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্নাটক, হরিয়ানা এবং দিল্লিকে কঠোর ভাবে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়া রুখতে কড়া বিধি জারি করতে বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। হাসপাতালের পরিকাঠামোর দিকেও বিশেষ নজর দিতে, জরুরি পরিষেবা তৈরি রাখতে বলা হয়েছে। মানুযের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ার অনিহা তৈরি হয়েছে ফলে নষ্ট হচ্ছে অনেক টিকা। রাজ্যগুলিকে টিকা সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। স্বাস্বাস্থ্যভবনের তরফে বলা হয়েছে করোনা পরিস্থিতির দিকে নজরদারি চালাতে। একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বয়স্ক মানুষ, শিশু, কোমর্বিডিটিতে আক্রান্ত, অন্তঃসত্তাদের ভিড় এড়িতে চলতে। সামাজিক দূরত্ববিধির পাশাপাশি, মাস্কের ব্যবহারে জোর দিতে। বাচ্চা ও বয়স্কদের নিয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের বার্তা দেওয়া হয়েছে, যাতে ভিড় থেকে দূরে রাখা যায় তাঁদের।এছাড়াও কাশি, সর্দি, জ্বর হলে করোনা টেস্ট করার পরামর্শও দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন।