
Howrah-Puri Vande Bharat Express | শুক্রবার ট্রায়াল রান হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের
হাওড়া: পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বাঙালির অন্যতম প্রিয় পর্যটন স্থল তথা তীর্থক্ষেত্র পুরী যাওয়া যাবে বন্দেভারত এক্সপ্রেসে। কলকাতা থেকে পুরী পৌঁছে যাওয়া যাবে মাত্র সাড়ে ৫ ঘণ্টায়। এর জন্য খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না রাজ্যবাসীকে। রেল সূত্রে খবর, আগামী মে মাস থেকেই চালু হতে চলেছে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। রেলের তরফে এবার সেই ট্রেনের ট্রায়াল রানের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হল। আগামী কাল অর্থাৎ ২৮ এপ্রিল শুক্রবার থেকে প্রথম ট্রায়াল রান চালু হবে। মোট তিনবার ট্রায়াল রান হবে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। সব ঠিক থাকলে মে মাস থেকেই এই ট্রেনে চেপে পুরী যাওয়া যাবে।
শুক্রবার ট্রায়াল রানের জন্য হাওড়া থেকে বন্দে ভারত ট্রেন ছাড়বে সকাল ৬ টা ১০ মিনিটে। সেই ট্রেন পুরী পৌঁছবে ১২ টা ৩৫ মিনিটে। আবার পুরী থেকে ১ টা ৫০ মিনিটে ট্রেনটি ছাড়বে ও হাওড়া পৌঁছবে রাত ৮ টা ৩০ মিনিটে। মাঝে ৫টি স্টেশনে থামবে ট্রেনটি। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ট্রেনটি ২ মিনিটের জন্য থামবে খড়গপুরে। ৩০ এপ্রিল অর্থাৎ রবিবার বন্দে ভারতের দ্বিতীয় ট্রায়াল রান। ওই দিন ট্রেনটি যাবে হাওড়া থেকে ভদ্রক পর্যন্ত। ১ মে পরবর্তী ট্রায়াল রানের দিন নির্ধারিত হবে।
সব ঠিক থাকলে সেমি হাই স্পিড বা উচ্চতর গতির এই ট্রেনটি চালু হবে মে মাসেই। সোমবার, শুক্রবার ও শনিবার- সপ্তাহে তিন দিন এই ট্রেন চলবে। জানা গিয়েছে, ভুবনেশ্বর, কটক ও খড়গপুরে ট্রেন দাঁড়াবে। সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার ঘণ্টা বেগে ট্রেনটি ছুটবে বলে জানা গিয়েছে। রেল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই ট্রেনে হাওড়া থেকে পুরী, ৫০০ কিলোমিটার পথ যেতে সময় লাগবে ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। পুরী থেকে দুপুর ২টোয় ট্রেন ছাড়বে ও সন্ধ্যায় ৭ টায় পৌঁছবে হাওড়ায়।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলের জমি বহু জায়গায় জবর দখল হয়ে আছে। সেই সমস্যার জন্য বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সর্বোচ্চ গতিবেগে ছুটতে পাচ্ছে না। এখন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ১৩০/১৩৫ কিলোমিটার বেগে ছুটছে। সর্বোচ্চ ১৬০ কিংবা ১৬৫ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারছে না। তার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, রেলের জমিতে জবর দখল প্রধান সমস্যা। তবে তিনি আশাবাদী রাজ্য সরকার রেলের জমিতে জবর দখলকারীদের সরানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। রাজ্য সরকারের সহযোগিতা নিয়ে পূর্বরেল এগিয়ে যাচ্ছে। রেলের জমি থেকে জবরদখলকারীদের সরানো গেলে কাঁটা তার দিয়ে রেললাইন মুড়ে ফেলা হবে। সারাদেশে বেশিরভাগ রেললাইন মুক্ত খোলা আকাশের নীচে। সর্বোচ্চ গতিবেগ দিতে সমস্যা আছে।