
Health Tips | টয়লেটের ভিতরে স্মার্টফোন ব্যবহার কোনও ভাবেই চলবে না!
আমাদের রোজকারের জীবনে মোবাইল একটা অবিচ্ছেদ্দ অঙ্গ। আজকাল আমরা ঘুম থেকে উঠতে-বসতে-খেতে-হাঁটতে-চলতে এমনকী, টয়লেটেও আমরা ফোন ব্যবহার করি। মোবাইলের নেশায় জড়িয়েগেছে আট থেকে ৮০ সকলেই। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না এই সবসময় ফোন ব্যবহার করার কারণে আপনি অজান্তেই ব্যাক্টেরিয়া ক্ষতিকারক ভাইরাস এবং ম,আর্ত্মক বিপদ ডেকে আনছেন।
সমীক্ষা বলছে, বিপুল সংখক ভারতীয় টয়লেটে ফোন নিয়ে যান। যেহেতু বেশিরভাগ মোবাইলের ফোনের কভার রাবারের তৈরি হয়। সেখানেই বাসা বাঁধে যাবতীয় ভারাসের। বাথরুমের ফ্লাশ, কল বা দরজার লক ধরার পর মোবাইলের স্ক্রিনে হাত দিলে সেখানেও এগুলি চলে আসে। সালমোনেল্লার মতো ভয়ঙ্কর ব্যাকটিরিয়া বাসা বাঁধে আপনার মোবাইলের স্ক্রিনে। এটি থেকে টাইফয়েডের মতো রোগ হতে পারে।
টয়লেটের ভিজে পরিবেশে দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে ব্যাকটেরিয়া। ঠিক ভাবে হাত না ধুলে বা টয়লেট ব্যবহারের সময় সেখানে মোবাইল রাখলে সেগুলি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। টয়লেট ব্যবহার করে সেই ফোন বিছানায় বা খাবার জায়গায় রেখে থাকেন অনেকেই।
সুস্বাস্থ্যের খাতিরে যেগুলি করবেন না:
- টয়লেটে যাওয়ার পরে প্রায় চল্লিশ সেকেন্ড ধরে সঠিকভাবে দুই হাত ধোওয়া উচিত। এটি করলে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস থাকলে তা ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু হাতে ফোন থাকলে এটি করতে পারেন না অনেকে। সঠিকভাবে হাত না ধুয়ে ওই হাতেই খাওয়াদাওয়া করেন। এর ফলে ডায়রিয়ার মতো ভয়ঙ্কর রোগ হতে পারে।
- টয়লেটে মোবাইল নিয়ে ঢুকবেন না। টয়লেটে ঢোকার আগে এক্সারসাইজ করে নেওয়া উচিত। এছাড়াও টয়লেটে সমস্যা হলে রাতে কয়েক চামক ভূষি খেয়েও ঘুমোতে যেতে পারেন। এতে পেট অনেক পরিষ্কার হবে। তাই টয়লেটেও বেশিক্ষণ বসে থাকতে হবে না।
- অনেকে আবার টয়লেটে বসে অফিসের কাজ করেন। কিন্তু অফিসের স্ট্রেস শারীরবৃত্তীয় নানা স্বাভাবিক কাজে বাধা তৈরি করে। তাই প্রতিদিন মোবাইল ব্যবহার করে অফিসের কাজ করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তৈরি করতে পারে। টয়লেটে গিয়ে গান শোনার অভ্যাস থাকলে টয়লেটের বাইরে মোবাইল রেখে তার সঙ্গে স্পিকার যোগ করার চেষ্টা করুন। কিন্তু টয়লেটের ভিতরে স্মার্টফোন ব্যবহার কোনও ভাবেই চলবে না।