২০০১ সালে আমেরিকায় ভয়াবহ সন্ত্রাস হামলার ২২তম বার্ষিকী
নয়াদিল্লি: ইতিহাসের পাতায় বিভিন্ন তারিখের প্রাসঙ্গিকতা কিন্তু বিভিন্ন রকমের হয়। এক এক দিন এক এক ধরন বা একাধিক বিশেষ ঘটনায় মোড়া থাকে। সেরকমই ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাস হামলায় গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা আজও সকলের মনে দাগ কেটে গিয়েছে। আজ ২২তম বার্ষীকি। এখনও সেই ক্ষতের দাগ দগদগে। সেই ১০২ মিনিট চিরদিনের মতো বদলে দিয়েছিল সকলের জীবন। এদিকে আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সেই জঙ্গি হামলায় নিহতদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় জানা সম্ভব হল ২২ বছর পরে। তাঁদের দেহাবশেষের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমেই পরিচয় জানা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক প্রশাসন।
টাইম ম্যাগাজিনের অন্তর্তদন্তে দাবি করা হয়েছে, ৯/১১ হামলার দিন আরও একটি বিমান অপহরণের ছক ছিল জঙ্গিদের। আল কায়দার সন্ত্রাসীরা ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ২৩টিকে টার্গেট করেছিল। কিন্তু নানা কারণে ওই বিমান দেরি করায় শেষ পর্যন্ত সেটিকে অপহরণের ছক বাতিল করে তারা।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। এদিন ছিনতাই করা চারটি যাত্রীবাহী বিমান দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গর্ব ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বা টুইন টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেয় সন্ত্রাসীবাদীরা। ধ্বংস হয় পাশের আরেকটি ছোট ভবনও। হামলার শিকার হয় মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। প্রাণ হারায় প্রায় তিন হাজার মানুষ। ভয়াবহ ওই হামলার ২২তম বার্ষিকী আজ। ওই হামলা পুরো বিশ্বকেই বদলে দিয়েছে। আর ওই হামলার জবাব দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে ইতিহাসের দীর্ঘতম যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলে। হামলার জন্য আল কায়েদাকে দায়ী করে দলটির নেতা ওসামা বিন লাদেনের ঘাঁটি আফগানিস্তানে হামলা চালায় ওয়াশিংটন। ক্ষমতাচ্যুত করা হয় লাদেনের মিত্র তৎকালীন তালিবান সরকারকে। এই ঘটনা পাল্টে দিয়েছে পুরো পৃথিবীর রাজনৈতিক ও সামরিক নিরাপত্তার ধারণা।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, ছিনতাইকারীরা ছোট ছোট দলে পূর্ব আমেরিকার আকাশপথ দিয়ে ওড়া চারটি বিমান একইসাথে ছিনতাই করে। তারপর বিমানগুলো দিয়ে নিউইয়র্ক আর ওয়াশিংটনের গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আঘাত হানা হয়। হামলায় অংশ নেয়া দুটি বিমান বিধ্বস্ত করা হয় নিউইয়র্কে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার ভবনে।