
Indian Railway | কীভাবে নির্ধারণ হয় ট্রেনের ভাড়া? জেনে নিন
নয়াদিল্লি: ভারতীয় রেলকে (Indian Railway) দেশবাসীর লাইফ লাইন বলা হয়ে থাকে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী বা অরুণাচল প্রদেশ থেকে রাজস্থানের থর মরুভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে ভারতীয় রেলের নেটওয়ার্ক। শুধু তাই নয়, প্রতি দিন কোটি কোটি মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে রেল (Rail) পরিষেবা নিয়ে থাকে। রেলের থেকে কম টাকায় এবং কম সময়ে কোনও পরিবহন ব্যবস্থা গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না। লোকাল হোক বা দূরপাল্লার, প্রায় প্রত্যেকেই কখনও না কখনও ট্রেনে যাত্রা করেছেন। ভাড়া সম্পর্কেও প্রত্যেকেরই মোটামুটি ধারনা আছে। কিন্তু জানেন কী কীভাবে ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বিভিন্ন ট্রেনের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ভাড়া ধার্য করা হয়। যেমন, শতাব্দী এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রে আলাদা ভাড়া, আবার রাজধানী এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রে আলাদা ভাড়া নেওয়া হয়। ভাড়ার মধ্যে অনেক কিছু ধার্য করা হয়। এর মধ্যে থাকে ডিসট্যান্স চার্জ, রিজার্ভেশন চার্জ ও জিএসটি। এর ওপর ভিত্তি করেই ট্রেনের ভাড়া ঠিক করা হয়। সাধারণত ট্রেনের ভাড়ার ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কিলোমিটার। অর্থাৎ আপনি কতটা পথ যাচ্ছেন, তার ওপর ভাড়া নির্ভর করে। যেমন, ১ থেকে ৫ কিলোমিটার, ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার, ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটার, ১৬ থেকে ২০ কিলোমিটার, ২১ থেকে ২৫ কিলোমিটার। এভাবেই ৪৯৫১ থেকে ৫,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভাগ আছে।
তবে এই সব ভাগগুলির হিসেব সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে ভারতীয় রেলের ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এছাড়াও আপনার কাটা টিকিটের মূল্যকে কী কী ভাগে ভাগ করা হয়েছে, সেটাও আপনি ওয়েবসাইট থেকেই দেখতে পাবেন। ভারতীয় রেলের ওয়েবসাইটে গিয়ে রেলওয়ে বোর্ড (Railway Board) সেকশনে যেতে হবে আপনাকে। সেখানেই আপনি ভাড়া সংক্রান্ত তথ্য দেখতে পাবেন।