
Kaliyaganj | কালিয়াগঞ্জে যুবকের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার নিল সিআইডি
কলকাতা: কালিয়াগঞ্জে ((kaliyaganj) পুলিশের গুলিতে রাজবংশী যুবকের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার নিল সিআইডি (CID)। পাশাপাশি, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর তরফেও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গত বুধবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে বিজেপির (BJP) গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বিষ্ণু বর্মণের খুড়তুতো ভাই মৃত্যুঞ্জয় বর্মণকে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনাতেই এবার রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের দফতরে অভিযোগ দায়ের করল মৃত যুবকের পরিবার।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, কালিয়াগঞ্জ থানার এএসআই মোয়াজ্জেম হোসেনের চালানো গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে মৃত্যুঞ্জয়ের। পাল্টা মৃতের পরিবারের দিকে আঙুল তুলেছেন ওই পুলিশ আধিকারিক। তাঁর বক্তব্য, সেদিন রাত্রিবেলা তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে। এই দুই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিআইডি-কে। এই বিষয়ে ডিআইজি অনুপ জয়সওয়াল জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশে সিআইডি (CID) তদন্তভার নিচ্ছে। তাঁরা যোগাযোগ করেছেন। তবে কবে থেকে তাঁরা কাজে নামবেন, তা এখনও জানাোনো হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাত ২টো নাগাদ, ৩টে গাড়িতে চড়ে রায়ঞ্জের রাধিকাপুরে একটি বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায় বলে অভিযোগ। কালিয়াগঞ্জে থানা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মণের বাড়িতে যায় পুলিশ। সেখানেই ফের অশান্তি বাধে। তাতেই গুলি চলে বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের। এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে রাধিকাপুর। মৃত যুবক বিজেপি কর্মী বলে দাবি করে পথে নামে বিজেপি। রায়গঞ্জে অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় গেরুয়া শিবির। রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী শিলিগুড়ি মোড়ে অবস্থানে বসেন। সেখানে সাংসদ, জেলা বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা যায় বিষ্ণু বর্মণকেও।
এদিকে, কালিয়াগঞ্জে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যু নিয়ে এবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক আইনজীবী। ঘটনার তদন্ত কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে করানোর দাবি জানান আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। এই মর্মে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।