
Nachiketa Chakraborty | টাকা নিয়েও শোতে গরহাজির নচিকেতা!বাতিল হল শো
সম্প্রতি শো করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী রুকমা রায়। এবার অভিযোগ উঠেছে নচিকেতা চক্রবর্তীর নামে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, টাকা নিয়েও নাকি শেষ মুহূর্তে তিনি শো করতে আসেননি। যার ফলে তাঁর শো দেখতে গিয়েও হতাশ হয়েই ফিরতে হয়েছে দর্শকদের। কিন্তু আসলে ঘটনা যে একেবারেই অন্য গল্প বলছে।
সম্প্রতি নচিকেতার নাম করে বরানগর পুরসভার অন্তর্গত রবীন্দ্র ভবন এলাকায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রীতিমতো টিকিট বিক্রি করা হয়। জানা গেছে, প্রতিটি টিকিট বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। রবিবার সন্ধ্যেবেলা নচিকেতার শো দেখতে ভিড় জমান দর্শকেরা। কিন্তু তখনই জানা যায় যে, শো করতে আসছেন না নচিকেতা। এরপরেই সেখানে শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। বরানগর পৌরসভার অন্তর্গত রবীন্দ্র ভবন হলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন দর্শকরা । অবস্থা হাতের বাইরে চলে গেলে বরানগর ও বেলঘড়িয়া থানা থেকে প্রচুর সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয় সেখানে। কিন্তু কিছুতেই বিক্ষোভকারী জনগণকে শান্ত করা যায় না। উল্টে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান তারা। ঐদিন ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ঘটনাস্থলে। অনুষ্ঠান বাতিল হওয়া নিয়ে আয়োজক সংস্থার এক কর্মী জানান, “আমাদের অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তার শরীর খারাপ। ফলে আমরা শিল্পীর সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। যদিও যতদূর জানি তাকে পারিশ্রমিক সময়মতো পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। দর্শকদের রিফান্ড দেওয়ার কথা বলেছি আমরা।”
বিষয়টি নিয়ে কলকাতা টিভির কাছে মুখ খুললেন নচিকেতা। তিনি জানান, সাধারণত কোনো অনুষ্ঠানের ৪৮ ঘণ্টা আগেই সেই অনুষ্ঠানের পারিশ্রমিক মিটিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে তা হয়নি। ১০হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল তারপর আর কোনো যোগাযোগ করেনি উদ্যোক্তারা। টাকা না পেলে কেন অনুষ্ঠানে যাবো? এবং ঝামেলা হবার আশংকায় আমি নিজে পুলিশকে সেদিন সকালেই পুরো ঘটনাটা জানিয়ে দিয়েছিলাম।”
এরপরেই প্রশ্ন ওঠে যে, কেন নচিকেতার পারিশ্রমিক মিটিয়ে দেওয়া হল না? যখন আমরা যোগাযোগ করি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে, তখন সেই সংস্থা থেকে দাবি করা হয় যে নচিকেতার কাছে সময়মতো বাকি টাকা দেওয়া হয়েছিল। তবুও শিল্পী অনুষ্ঠানে আসেন নি এবং সেটাই দর্শকদের একাংশকেও জানানো হয়েছিল। কিন্তু শিল্পীকে পারিশ্রমিক দিলে তো কন্ট্রাক্ট এবং মানি রিসিপ্ট থাকবে। সেটা প্রকাশ্যে আনলেই তো সব সংশয় মিটে যায়। বেগতিক দেখে শেষমেশ অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা কৌশিক চক্রবর্তী কলকাতা টিভির কাছে সরাসরি স্বীকার করে নেন যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে শিল্পীর পারিশ্রমিক মেটানো সম্ভব হয় নি। এবং পরিস্থিতি সামলানোর জন্য তার সংস্থার কোনো কোনো কর্মী হয়তো শিল্পীর সম্পর্কে অন্য কথা বলেছেন যেটা উচিত হয়নি।
আসলে মুশকিলটা এটাই। শিল্পীর গায়ে খুব সহজেই কাদা ছিটিয়ে দেওয়া যায়। নিজেদের পিঠ বাঁচাতে শিল্পীরাই কখনো কখনো ভরসা হয়ে ওঠেন। নীতি নৈতিকতার কথা শুধু নচিকেতার গানেই থাকে, হাততালিতেই থাকে। নিজেদের জীবনে কি আদৌ থাকে?