
Calcutta High Court | ১০০ দিনের টাকা বন্ধ কেন, কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
কলকাতা: ১০০ দিনের টাকা কেন বন্ধ, কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকী এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে যথাযথ তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতের বলেছে, তদন্তের পর প্রাপকরা যেন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত না হন। এরই পাশিপাশি ২০ জুনের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট হাইকোর্টে পেশ করতে হবে কেন্দ্রকে। আদালত জানায়, রাজ্যের তরফে এই বিষয়ে কোনও বক্তব্য থাকলে রিপোর্ট পেশের এক সপ্তাহের মধ্যে জানাতে পারবে তারা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি জুলাইয়ে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকার ১০০ দিনের প্রকল্প চালু করার দাবিতে একশন টেকেন রিপোর্ট পাঠিয়েছিল কেন্দ্রকে। সেই ব্যাপারে কেন্দ্রের বক্তব্য কী, তাও এদিন জানতে চাইল প্রধান বিচারপতি টিএস শিভগননম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্রাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ।
শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী সম্রাট সেন এজলাসে বলেন, “১০০ দিনের টাকা দেয় কেন্দ্র। কিন্তু ২০২১ ডিসেম্বর মাস থেকে এই প্রকল্পে টাকা বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এরপর পাঁচ বার কেন্দ্রীয় সরকারকে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু কিছু ফল হয়নি।“ রাজ্যের আইনজীবী আরও বলেন, “শ্রমিকদের কাজের মাস্টার রোল তৈরি হয়ে গেলে কেন্দ্র টাকা পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র কোনও টারা ছাড়েনি। রাজ্য সরকার একাধিকবার এ ব্যাপারে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।“
পাল্টা অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল (কেন্দ্র) বিল্বদল ভট্রাচার্য বলেন, “কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট রয়েছে, ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং, ভুয়ো জব কার্ড বানিয়ে মিথ্যা টেন্ডার দেখিয়ে ১০০ দিনের টাকা লুট করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের সব টাকা ইতিমধ্যে দিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে। ২০২২ সালে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।“
প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের প্রকল্পে টাকা কেন বন্ধ করা হল এবং অবিলম্বে এই প্রকল্প চালু করার দাবিতে দায়ের হয় মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। উচ্চ আদালতে মামলাটি করেছিল খেত মজদুর কমিটি। মুখ্যমন্ত্রী মমত বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একাধিক বার কেন্দ্রের কাছে টাকা চাইতে দেখা গিয়েছে। তিনিও বহুবার অভিযোগ তুলেছেন ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখেছে মোদি সরকার।