
Manish Jain | মণীশ জৈনকে ফের তলব সিবিআইয়ের
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Teacher Recruitment Scam) শিক্ষা সচিব (Education Secretary) মণীশ জৈনকে (Manish Jain) ফের তলব সিবিআইয়ের (CBI)। আগামী শুক্রবার তাঁকে নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এমনটাই বুধবার সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। এর আগেও তাঁকে তলব করা হয়েছিল। সেই জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে সন্তুষ্ট নয় সিবিআই। আরও কিছু বিষয় তাঁর কাছে জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার তাঁকে দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তারপর সিবিআই দফতর থেকে বেরোন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন (Manish Jain)। বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেস (Nijam Place) থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছিলেন, আমাদের দফতরে যে নিয়ম এবং পদ্ধতি মেনে কাজ হয়, তা জানার জন্য সিবিআই আমাকে ডেকেছিল।
নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ নিজাম প্যালাসে হাজির হন মণীশ। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশ খানিকটা আগেই উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যখন নিজাম প্যালেস থেকে বেরোন ঘড়ির কাঁটায় তখন সন্ধ্যে ৬.৪০। সেখানে থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তিনি নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও ফাইল পাঠাতেন কি না সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ফাইল তো নিজেই নিজের কথা বলে। এছাড়া আলাদা একটি সংস্থা স্বাধীন ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করে। তাতে সরকারের ভূমিকা থাকে না। এদিন নিজাম প্যালেসে প্রবেশের সময় তাঁর হাতে একটি ফাইল লক্ষ করা যায়। সেই ফাইল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, শিক্ষা দফতরের কাজের পদ্ধতি এবং নিয়োগ সংক্রান্ত যা যা নথি চাওয়া হয়েছিল। সেটাই জমা দিতে এসেছিলেন। এরপর ভবিষ্যতেও আর কোনও তথ্য বা নথি চাওয়া হলে তিনি ফের সহযোগিতা করবেন।
এদিকে সিবিআই সূত্রে জানাগিয়েছে, জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বহুবার প্রকাশ্যে দাবি করেছেন যে তিনি শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী ছিলেন মাত্র। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নিতেন না। শিক্ষাসচিব তাঁর কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত যে ফাইল পাঠাতেন, তাতে তিনি সই করে দিতেন মাত্র। তাহলে কার নির্দেশে মণীশের হাত ঘুরে ফাইল পৌঁছত শিক্ষামন্ত্রীর কাছে? বৃহস্পতিবার তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়ে থাকতে পারে শিক্ষাসচিবকে। এর আগে জানুয়ারি মাসে রাজ্যের শিক্ষা বিভাগের সদর দফতর বিকাশ ভবনে হঠাৎ অভিযান চালিয়েছিলেন সিবিআই কর্তারা। বিকাশ ভবনের ৬ তলায় মণীশের ঘর থেকেও বেশ কিছু নথি তথ্য সংগ্রহ করেছিল সিবিআই।