পুজোর ছুটিতে কালিম্পং যাওয়ার প্ল্যান? লিস্টে রাখতে পারেন এই জায়গাগুলি
কলকাতা: বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। কয়েক দিনের ছুটি পেলেই ব্যাগ গুছিয়ে বেড়িয়ে পড়তে ইচ্ছা যায়। আর সামনেই দুর্গা পুজো। মানে একটা লম্বা ছুটি। কিন্তু যেহেতু পুজোর সময় তাই পকেটের কথাও ভাবতে হবে। চিন্তা নেই! আমরা এমন কয়েকটি জায়গার সন্ধান দেব, যেখানে গেলে আপনার বাজেটেও টান পড়বে না, পাশাপাশি পুজোর ছুটি পাহাড়ের কোলে কাটাতে পারবেন। এবারের পুজোয় আপনার গন্তব্য হতেই পারে কালিম্পং (Kalimpong)। যাঁরা পাহাড় ভালোবাসেন এবং চিরাচরিত পাহাড়ি গন্তব্যের বাইরে ভিন্ন স্বাদ খুঁজে বেড়ান, তাঁদের কাছে অফবিট ডেস্টিনেশন হিসেবে পরিচিতি পেতে পারে কালিম্পং এই ৩টি পাহাড়ি গ্রাম।
তন্দ্রেবং- কালিম্পং জেলার ছোট্ট গ্রাম তন্দ্রেবং। কালিম্পং থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে নেওড়া ভ্যালি জাতীয় উদ্যানের কোলে অবস্থিত এই গ্রাম। এখনও পর্যন্ত এখানে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায় না। তাই নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চাইলে এবং প্রাকৃতিক নির্জনতা খুঁজলে চলে আসতে পারেন তন্দ্রেবংয়ে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে দেখা মিলবে কাঞ্চনজঙ্ঘা ও হিমালয়ের অবয়ব। তন্দ্রেবংয়ের আশেপাশে রয়েছে লাভা, রিশপ, কোলাখাম। এছাড়া ঘুরে দেখতে পারেন চাঙ্গে জলপ্রপাত। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে প্রায় ১১৩ কিলোমিটারের পথ তন্দ্রেবং। গাড়িতে সময় লাগবে প্রায় ৩ ঘণ্টা। শেয়ার গাড়িও পাওয়া যায় কালিম্পং থেকে। এখানে হাতেগোনা কয়েকটি হোমস্টে রয়েছে।
লোয়ার সন্তুক- বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় সন্তুক। রেলি নদীর তীরে অবস্থিত ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। ভিড়ভাট্টা এড়াতে চাইলে আপনি লোয়ার সন্তুকে চলে আসতে পারেন। চারধারে সবুজে ঘেরা পাহাড়, মাঝখান দিয়ে অবিরাম বয়ে চলেছে রেলি নদী। এই নদীর ধারেই খুঁজে নিন রাত কাটানোর আস্তানা। লোয়ার সন্তুকে নদীর পাশে হোমস্টে রয়েছে। এখানেই আপনার সারাদিন কেটে যাবে। সঙ্গে মাছ ধরা এবং মাছ খাওয়া তো আছেই। রেলি নদীর পার ধরে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ট্রেক করতে পারবেন। এমনকী হোমস্টে পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্যও আপনাকে প্রায় ৫০০ মিটার হেঁটে নীচে নামতে হবে। শেয়ার গাড়িতে পৌঁছাতে পারেন লোয়ার সন্তুক। কালিম্পং বাজার কিংবা আলগরা থেকে লোয়ার সন্তুক যাওয়ার গাড়ি পেয়ে যাবেন।
মারিংগাঁও- কালিম্পংয়ের অন্যতম ডেস্টিনেশন মারিংগাঁও। আলগরা থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই পাহাড়ি গ্রাম। তাই এখান থেকে গাড়িও পেয়ে যাবেন মারিংগাঁও পৌঁছানোর জন্য। প্রাকৃতিক নির্জনতার খোঁজে কালিম্পং বেড়াতে যেতে চাইলে, চলে আসুন মারিংগাঁওতে। এই গ্রাম মাত্র ৪০০ মানুষের বাস। আর এখানে আপনি বছরের যে কোনও সময় আসতে পারেন। এখান থেকে আপনি ঘুরে দেখতে পারেন ইচ্ছেগাঁও, রামধুরা। থাকার জন্য হোমস্টের সুবিধাও রয়েছে।