Rocket Woman Ritu Karidhal | চন্দ্রযান ৩-এর নেতৃত্বে ভারতের ‘রকেট-নারী’ ঋতু করিধাল
নয়াদিল্লি: ছোট থেকে স্বপ্ন ছিল আকাশ। কিন্তু, তিনি জানতেন আকাশেরও ছাদ আছে। তাই স্বপ্নের পুচ্ছটিকে মহাকাশে ছড়িয়ে দিলেন তিনি। তাঁর নাম ঋতু করিধাল। ভারতের একমাত্র রকেট-নারী। আজ, শুক্রবার তাঁরই নেতৃত্বে হতে চলেছে ভারতের তৃতীয় চন্দ্রাভিযান। দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটে চন্দ্রযান ৩ উড়ে যাবে চাঁদের উদ্দেশে। গোটা দেশ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে সেই উৎক্ষেপণের জন্য। চন্দ্রযান ৩ অভিযানে ইসরোর দলের মাথা ঋতু। লখনউয়ের রাজাজিপুরমে জন্ম। প্রথম শিক্ষা সেন্ট অ্যাগনেস পাবলিক স্কুলে। তারপর নবযুগ কন্যা বিদ্যালয়ে।
রকেট-নারীর কাঁধেই রয়েছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযানের নিরাপদ অবতরণের ভার। ঋতু বিজ্ঞানে স্নাতক হন আমিনাবাদের মহিলা বিদ্যালয় ডিগ্রি কলেজ থেকে। লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর করেন। এরপর ভর্তি হন বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে এয়ারো সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমটেক করার জন্য।
এর আগে ঋতু মঙ্গলায়ন ১-এর ডেপুটি অপারেশনস ডিরেক্টর এবং চন্দ্রাযান ২-এর মিশন ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছিলেন। এই অভিজ্ঞতার জেরেই এবারেও গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকেই। ১৯৯৭ সালে তিনি ইসরোতে কাজে যোগ দেন। তাঁর প্রথম নিয়োগ হয় ইউআর রাও উপগ্রহ কেন্দ্রে। প্রথম দোলাচলের মুখোমুখি হলেন চাকরি পাওয়ার সময়ই। কারণ এমটেক করার পর ঋতু পিএইচডি শুরু করেন। এবং একটি কলেজে অস্থায়ী পড়ানোর কাজ করছিলেন। তখনই ইসরোর চাকরির আবেদন করেন তিনি। চাকরির নিয়োগপত্র আসার পর দ্বিধায় পড়ে যান। গবেষণা না কর্মজীবন! কোন পথ বেছে নেবেন। সেই জটিল পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসেন তাঁর গবেষণার শিক্ষিকা মণীশা গুপ্তা। তিনিই ঋতুকে ইসরোতে যোগ দিতে উৎসাহ দেন।
ঋতুর ব্যাগে রয়েছে ভারতের বেশ কয়েকটি সম্মানজনক পুরস্কার। যেমন, ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড, ইসরো টিম অ্যাওয়ার্ড, এএসআই টিম অ্যাওয়ার্ড, সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া এয়ারোস্পেস টেকনোলজি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের এয়ারোস্পেস উওম্যান অ্যাওয়ার্ড প্রভৃতি। উল্লেখ্য, ৬১৫ কোটির চন্দ্রযান ৩ তার সফর শেষ করতে সময় নেবে ৫০ দিন। এদিনের এই চন্দ্রাভিযানের মধ্য দিয়ে ভারত সেই দেশগুলির সমকক্ষ হতে চলেছে, যারা চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করতে সফল হয়েছে। এর আগে চন্দ্রযান ২ চাঁদের মাটিতে নামার সময় ভেঙে পড়ে যায়।