
IPAC বা অভিষেকের নামে টাকা চাওয়ার অভিযোগ, কী বার্তা দিলেন অভিষেক?
আইপ্যাক (I-Pac) নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্ররা। ভুয়ো ভোটার ধরতে শনিবার ভার্চুয়ালি বৈঠকে বসেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বৈঠক থেকে আইপ্যাক নিয়ে বার্তা দিলেন অভিষেক। তিনি বললেন, আইপ্যাকের নাম করে কেউ ‘তোলাবাজি’ করলে বরদাস্ত করবেন না। বদনাম করতে কে বা কারা আইপ্যাকের নাম ব্যবহার করছে। অভিষেকের মন্তব্য থেকে স্পষ্ট ২৬ এর নির্বাচনের আগে তৃণমূল গুরুত্ব পাশাপাশি দলীয় নেতাদের শৃঙ্খলাববদ্ধ ভাবে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে চলার বার্তা দিয়েছেন।
শনিবার তৃণমূলের প্রায় ৪,৫০০ নেতাকে নিয়ে ভোটার তালিকা সংশোধন সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বৈঠক থেকে অভিষেক দলীয় কর্মীদের বললেন, কে বা কারা আইপ্যাকের নাম করে তোলাবাজি করছে। বেশ কিছু অভিযোগ পেয়ে দলের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, যদি দলের কারও বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে টাকা তোলার অভিযোগ জমা পড়ে এবং তা প্রমাণিত হয়, তা হলে সংশ্লিষ্ট নেতা বা কর্মীর বিরুদ্ধে দল কড়া ব্যবস্থা নেবে। ভূতুড়ে ভোটার খুঁজতে তৃণমূল জেলায় জেলায় কমিটি গড়ছে। এদিন অভিষেক জানিয়ে দিলেন, এই নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবে আইপ্যাক। আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে আইপ্যাকের যে গুরুত্ব বাড়ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
উল্লেখ্য, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফল খুব একটা ভালো হয়নি। এরপর আইপ্যাকের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে তৃণমূল। একুশের নির্বাচনে তৃণমূল দু’শোর বেশি আসন পেয়ে ফের ক্ষমতায় ফেরে। একুশের সাফল্যের পর রাজ্যের বাইরে তৃণমূলের সংগঠন বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করছে আইপ্যাক। কিন্তু, গত কয়েকমাসে আইপ্যাকের বিরুদ্ধে সরব হন একাধিক তৃণমূল নেতা। সূত্রের খবর, মমতার সঙ্গে বৈঠকে অভিষেক স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আই-প্যাককে বাদ দিয়ে ভোট লড়া সম্ভব নয়। তৃণমূলস্তরে নিরপেক্ষ সমীক্ষার জন্য এরকম একটি এজেন্সি প্রয়োজন। আই-প্যাকের কাজের জন্য যাঁদের সমস্যা হচ্ছে তাঁরাই ফোঁস করছেন। তাঁরা সমীক্ষার কাজ ও প্রচার কৌশল নির্ধারনের কাজটাই করবেন। অভিষেকও জানিয়ে দিলেন, আই-প্যাক সংক্রান্ত কারও কাছে ফোন গেলে তাঁরা যে সংশ্লিষ্ট নম্বরে ফোন করে যাচাই করে নেন।