চন্দ্রযানের পর এবার সমুদ্রযান, রহস্য উন্মোচনে সমুদ্রের অতল গহ্বরে পাড়ি দেবে ভারতের মৎস্য
চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের টান কাটিয়ে চাঁদের দিকে এগিয়ে চলেছে নিজস্ব গতিতে। মহাকাশের পাশাপাশি মহাসমুদ্রেও পিছিয়ে নেই ভারত। এবার সমুদ্রের ৬০০০ মিটার গভীরে ৩ জন বিজ্ঞানীকে নিয়ে গবেষণামূলক অভিযান চালাতে তৈরি হচ্ছে দেশ। ২০২৬ সালে ভারতের ‘সমুদ্রযান মিশন’ (Samudrayaan Mission)-এর ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (NITS)। এই যানে চেপে প্রথমবার দেশের মানুষ মহাসাগরের তলদেশ ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন।
জানা গিয়েছে, মহাসাগরের ৬ হাজার মিটার নীচে পাড়ি দেবে ভারতের সাবমেরিন। তিনজন যাত্রী নিয়ে পাড়ি দেবে এই ডুবযান। সমুদ্রযান প্রকল্পটি ২০২৬ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হতে পারে। চেন্নাইয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজি (NIOT) ডিজাইন ও তৈরি করছে। এই ডুবো জাহাজের নাম, ‘মৎস্য ৬০০০’। ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কিরেন রিজিজু বলেন, “এই সাবমেরিনটি সমুদ্রের ছয় হাজার মিটার গভীরে যেতে পারবে। এই অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য হল-দেশের অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি, জীবিকার ক্ষেত্রে উন্নতি, কর্মসংস্থান , সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা। এটি সাধারণ সময়ে ১২ ঘণ্টা জলের তলায় থাকতে পারবে এবং মানুষের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ৯৬ ঘণ্টা যাতে জলের নীচে থাকতে পারবে।”
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজির ডিরেক্টর ড. জিএ রামদাস বলেন, “প্রাথমিকভাবে ট্রায়ালের প্রথম পর্বে ৫০০ মিটার নীচ পর্যন্ত নামানো হবে ডুবযানটিকে। ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস নাগাদ এই ট্রায়াল শুরু হবে। ২০২৫ সালের শেষদিকে ৬ হাজার মিটার পর্যন্ত ট্রায়াল শুরু হবে। অতল সমুদ্রে লুকিয়ে থাকা একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজবে ভারতের ‘সমুদ্রযান প্রকল্প’।
সম্প্রতি, আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে ভয়ংকর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে টাইটান সাবমেরিন। মুহূর্তের মধ্যে জলের চাপে ধ্বংস হয়ে যায় ডুবযানটি। সে ক্ষেত্রে মৎস্য-৬০০০ সাবমেরিন কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, এই সমুদ্রযান ওশানগেটের টাইটানের থেকেও অতল গভীরে নামবে।