Anubrata Mandal | মেয়েকে গ্রেফতার করা ঠিক হয়নি, এটা কোনও বাহাদুরি নয়, মন্তব্য কেষ্টর
নয়াদিল্লি: মেয়েকে গ্রেফতার করা ঠিক হয়নি। এটা কোনও বাহাদুরির কাজ নয়, মন্তব্য় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal)। সোমবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে গরুপাচার মামলায় (Cattle Scam Case) ধৃত অনুব্রত ঢোকার সময় মেয়ের গ্রফতারি প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করেন। সম্প্রতি গরুপাচার মামলায় অনুব্রতর মেয়ে সুকন্য মণ্ডলকে (Sukanya Mandal) গ্রেফতার করেছে ইডি (ED)। বাবার সঙ্গে তিহার জেলেই ঠাঁই হয়েছে সুকন্যার। এদিন দিল্লির আদালতে অনুব্রতর তিহার (Tihar Jail) থেকে আসানসোল জেলে পাঠানোর আবেদনের শুনানি ছিল। মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ মে। পাশাপাশি অনুব্রতর আইনজীবী জানান, গরুপাচার মামলায় ওইদিনই অর্থাৎ ৪ মে চার্জশিট পেশ করতে পারে ইডি।
প্রসঙ্গত, তিহারের বদলে আসানসোল জেলে যেতে চেয়ে আগেই রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন করেছিলেন বীরভূমের কেষ্ট। প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা আসানসোল জেলে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করুন। এমনকি, পরবর্তীকালে ফের দিল্লিতে আসার ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা নেই বলে আবেদনে এও জানান অনুব্রত। এদিকে দিল্লি হাইকোর্টে নাম মঞ্জুর হয়ে গিয়েছে অনুব্রতর জামিনের আবেদন। আপাতত তাই তিহারেই থাকতে হচ্ছে কেষ্টকে। দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রতর জামিন মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭ জুলাই। ফলে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট স্থানান্তরিতকরণে অনুমতি না দিলে জামিনের অপেক্ষায় আরও ৪ মাস তিহার জেলেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে।
উল্লেখ্য, গত বছরের অগাস্ট মাসে বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপরই তাঁকে আসানসোল জেলে পাঠানো হয়। তদন্তে তাঁর নামে ও বেনামে বহু সম্পত্তির খোঁজ মেলে। জেলবন্দি অবস্থাতেই ইডির হাতে গ্রেফতার হন কেষ্ট। এরপরই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। এই নিয়ে দীর্ঘ আইনি টানাপোড়েন চলে। শেষ পর্যন্ত দোলের দিনে তাঁকে রাজধানীতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর ঠাঁই হয় তিহার জেল। দিল্লির সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই বারবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এই অবস্থায় সম্প্রতি তিহার জেলের হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। তাঁকে নিয়মিত ইনহেলার ও নেবুলাইজার ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। এই মামলায় ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকে দু’দফায় তলব করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। দু’বারই হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি।