দিল্লিতে কেন যাচ্ছে গরু পাচার মামলা, জানতে চাইলেন অনুব্রত
আসানসোল: সায়গল (Sehgal) হোসেনের হাতে ব্যথা সেই কারণে এমআরআই করতে সফদরগঞ্জ হাসপাতালে যায়। সেই কারণে সায়গল ভার্চুয়ালি শুনানিতে হাজির হয়নি। অন্যদিকে ভার্চুয়াল শুনানিতে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) আসানসোলের (Asansol) বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতের বিচারক বৃহস্পতিবার বলেন, আপনাকে রোগা লাগছে। তখন অনুব্রত মন্ডল বলেন, তাঁর শরীর খুবই খারাপ এবং ওজন কমেছে। পাশাপাশি অনুব্রত বলেন যে তাঁকে ইনহেলারও নিতে হচ্ছে এমনকি সবই ওষুধ তাঁকে নিয়মমাফিক খেতে হচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তাঁর সমস্ত অ্যাকাউন্ট সিজ করা আছে। তার ফলে সমস্যায় আছেন। সামনে পুজো আসছে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া যাবে না। সেই কারণে বিচারকের কাছে অনুব্রত আবেদন করেন যে তাঁর যেন অন্তত একটা অ্যাকাউন্টকে খুলে দেওয়া হয়। অপরদিকে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বলেন যে তাঁর মুখের কথায় কিছু হবে না। তাকে তাঁর আইনজীবীকে বলতে হবে যেন আদালতে এই বিষয়ে লিখিত আবেদন করেন তারপরই তা বিবেচনা করা হবে। পাশাপাশি তিনি বিচারকের কাছে জানতে চান যে এই যে গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Scam Case) মামলা কেন দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সাক্ষী এখানে, তাঁদের দিল্লি (Delhi) যেতে সমস্যা হবে।
বিচারক বলেন যে এই বিষয়ে শুনানি শেষ হয়নি। এই মামলা আগামী ১৯ আগস্ট তারিখে এই আদালতেই শুনানি হবে। তারপরেই আদালত বিবেচনা করবে গরু পাচার মামলা স্থানান্তরিত হবে কি না। সবই আইন মেনে হবে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। অনুব্রত বিচারকের কাছে জানতে চান তিনি কি উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। তখন বিচারক বলেন আইন সবার জন্য। অবশ্যই যেতে পারেন। অবশেষে উভয় পক্ষের শুনানি শোনার পর বিচারক ১২ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই ফের জামিনের আবেদন খারিজ হয় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে (Special CBI court at Asansol) অনুব্রতর জামিনের আবেদনে শুনানি হয়। তাঁর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ যে কোনও শর্তে জামিনের আর্জি জানান। সিবিআইয়ের আইনজীবী জয় কিসাণ জামিনের বিরোধিতা করে তৃণমূলের বীরভূমের জেলা সভাপতির প্রভাবের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তদন্ত এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। অনুব্রত অত্যন্ত প্রভাবশালী এখন জামিনে মুক্তি পেলে তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। দু পক্ষের সওয়াল জবাবের পর রায়দান দুঘণ্টার জন্য স্থগিত রাখেন বিচারক। পরে তিনি জামিনের আবেদন খারিজ করার রায় দেন।