
গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে, দাবি বাংলাদেশি সেনাপ্রধানের
বাংলাদেশে (Bangladesh) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের (Student Leaders) সঙ্গে সেনাবাহিনীর (Bangladesh Army) সম্পর্ক কি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে? রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ এবং দেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ জামানের (Waker Uz-Zaman) বক্তব্য অন্তত সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। সোমবার ঢাকায় সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সেনাপ্রধান সেনাবাহিনীকে ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি সামলানোর নির্দেশ দেন তিনি।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এদিনে বৈঠকে সেনাপ্রধান স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়নি, তবে নানারকমের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এসব থেকে নাগরিকদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সেনাপ্রধান। তিনি দেশের সেনাকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘দেশ ও জনগণের নিরাপত্তা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। উসকানিদাতাদের লক্ষ্য সফল হয়, এমন কিছু করা যাবে না।’’
উল্লেখ্য, গত বছরের গত জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে যে রাজনৈতিক পালাবদল হয়েছিল, সেই ধারাবাহিকতায় জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে গঠিত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি। প্রথমদিকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ছাত্রনেতাদের সমন্বয়ের আভাস পাওয়া গেলেও, সময়ের সঙ্গে তাঁদের দূরত্ব বাড়তে শুরু করে।
সাম্প্রতিক সময়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে এনসিপি নেতৃত্বের মতপার্থক্যও প্রকাশ্যে এসেছে। দলের এক মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আওয়ামি লিগের ‘স্বচ্ছ ভাবমূর্তির’ কিছু নেতাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তবে আরেক সংগঠক সারজিস আলম এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করাই এনসিপির উদ্দেশ্য।