
বাংলাদেশে হাসিনাকে তাড়ানো ছাত্র আন্দোলনের নেতা গ্রেপ্তার
ওয়েব ডেস্ক: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ থেকে সূত্রপাত। তার জেরেই সেসময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) গত ৫ অগাস্ট উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে আসতে হয়। এরপর সেখানে মহম্মদ ইউনুসের (Md Yunus) নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বতী সরকার। বাংলাদেশ (Bangladesh) সেনার উদ্যোগেই ওই সরকার গঠিত হয়। তবে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতাদের নিয়ন্ত্রণেই ইউনুস সরকার চলছিল তা পরিষ্কার। আন্দোলনকারী সেই ছাত্র নেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনার (Bangladesh Army) সম্পর্কের চাপানউতোরে এখন উত্তপ্ত ঢাকা। তারই মধ্যে রবিবার গ্রেফতার করা হল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মুখ আক্তার হোসেন। যারা বাংলাদেশে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নামে নতুন রাজনৈতিক তৈরি করেছে। যে ঘটনায় পদ্মাপাড়ের দেশে বহু সমীকরণ বদলাতে শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইউনুসের শাসনে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ দিকে গিয়েছে। সংসদে তাণ্ডব, মুজিবর রহমানের মূর্তি ভাঙা, বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙচুর থেকে হিন্দুদের উপর অত্যাচার, নারী নির্যাতন। ক্ষুব্ধ বাংলাদেশবাসী রাস্তায় নেমে এসেছেন একাধিকবার। বাংলাদেশ সেনা ইতিমধ্যে তারা দেশে নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে শুরু করেছে। তবে ইউনুস সরকার কি পরিস্থিতিবুঝে অভিমুখ বদলাচ্ছে?
বাংলাদেশের পুলিস জানিয়েছে, একটি গণ্ডগোলের ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সিলেটের জেলা আহ্বায়ক আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার সিলেটের জালালাবাদ থানার বাড়ি থেকে তাঁকে ধরা হয়। শনিবার এনসিপির ইফতার মাহফিলের মারামারির ঘটনায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতা মাহবুবুর রহমান শান্তর করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারিতে সামনে এই বিষয়টি এলেও মনে করা হচ্ছে এর রাজনৈতিক গভীরতা অনেক দূরে। ইতিমধ্যে শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতা দিতে শুরু করার পর আওয়ামি লিগ সেখানে অক্সিজেন পেতে শুরু করেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির ওই ছাত্র নেতারা বেগতিক বুঝে শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে পথে নামছে। শুধু তাই নয়। বাংলাদেশ সেনা আওয়ামি লিগকে নতুন নামে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে। ওই বৈষ্য বিরোধী ছাত্র নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক এই অভিযোগ তুলছেন। এমনকী এক্ষেত্রে ভারতের মদত রয়েছে বলেও তাঁরা লিখছেন। সেই ঘটনায় বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে নবম ডিভিশনের সেনা ঢাকায় গিয়েছে। সম্প্রতি ইউনুস ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ব্যাঙ্ককে বিমস্টেকের আগামী বৈঠকে দেখা করতে চেয়েছেন। ইউনুস জানিয়েছেন, আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার ভাবনা সরকারের নেই। ইউনুসের শাসনের শুরু থেকে ছন্নছাড়া আওয়ামি লিগ। একের পর এক নেতাকে জেলো পোরা হয়েছে। ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। মিথ্য মামলায়ে গারদে ঢোকানো হয়েছে। সেনার ফের সক্রিয়তা ও ছাত্র নেতার গ্রেপ্তারি। বাংলাদেশে হাওয়ায় অন্য তালে বইতে শুরু করেছে। এমনটাই বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।