NCP Crisis | পাওয়ারের ভাইপোর ‘মহা-বিদ্রোহ’, শিন্ডে সরকারে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ অজিতের, সঙ্গী ৯ মন্ত্রী
মুম্বই: মহারাষ্ট্রে ফের অপারেশন কমল। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলি যখন জোট বাঁধার চেষ্টা করছে, তখন খোদ ‘মারাঠা স্ট্রংম্যানের’ দুর্গের উপর কবজা নিল বিজেপি। শরদ পাওয়ারের ভাইপো এনসিপি নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অজিত পাওয়ার সদলবলে যোগ দিলেন শিন্ডে-সেনা ও বিজেপির জোট সরকারে। দুপুরেই উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অজিত পাওয়ার। সঙ্গে আরও প্রায় ৯ জন বিধায়ক মন্ত্রিপদে শপথ নেন। প্রায় জনা ৪০ বিধায়ককে নিয়ে ‘অজিতদাদা’ বিজেপি জোটে যোগ দেওয়ায় কার্যত অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ল এনসিপির ৫২ সদস্যের বিধান পরিষদীয় দল।
বেশ কয়েকদিন ধরেই অজিত পাওয়ার বিরোধী দলনেতার পদ নিয়ে ঘরে-বাইরে উষ্মা প্রকাশ করছিলেন। এমনকী এই পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশও করেন। তারপরেই রাজ্যে এনসিপি-কংগ্রেস এবং উদ্ধবসেনার মহাবিকাশ আঘাড়ি জোটকে এক ধাক্কায় শুইয়ে দিয়ে গৃহযুদ্ধ ঘটিয়ে দিলেন পাওয়ার পরিবারে। কিছুদিন আগেই আচমকা শরদ পাওয়ার দলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান। তারপরেই পাওয়ারকে নিয়ে শুরু হয় টানামানি খেলা। শেষপর্যন্ত পাওয়ার-কন্যা সুপ্রিয়া সুলের হাতে দলের কার্যনির্বাহী দায়িত্ব তুলে দিয়ে বিরোধী দলনেতার পদ দেওয়া হয় ভাইপোকে। কিন্তু, তাতে মোটেই সন্তুষ্ট ছিলেন না অজিত পাওয়ার।
মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় এখন বিজেপি, শিবসেনা এবং এনসিপির ৯ জন করে মন্ত্রী রইলেন। সেই সঙ্গে বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও এনসিপির অজিত পাওয়ার রইলেন উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে। এদিন সকালে অজিতদাদা দলের কিছু নেতা এবং বিধায়ককে নিয়ে তাঁর বাসভবনে বৈঠক করেন। কিন্তু, এ বিষয়ে শরদ পাওয়ার ঘূণাক্ষরেও কিছু টের পাননি। পাওয়ার বলেন, দলনেতা হিসেবে ওর অধিকার রয়েছে বিধায়কদের ডাকার। কিন্তু আমি জানি না, ঠিক কী কারণে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে কী হয়েছে তাও আমার বিস্তারিতে জানা নেই।
সব থেকে বড় কথা, পাটনায় বিরোধীদের বৈঠকে যখন মহাজোট সম্ভাবনা একটু একটু করে দানা বাঁধছিল, ঠিক তখন জোটের অন্যতম মুখ শরদ পাওয়ারকে একধাক্কায় ফেলে দিল বিজেপি শিবির। অজিত পাওয়ারের যোগ দেওয়ার পরপরই মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বলেন, এর ফলে রাজ্যে ট্রিপল ইঞ্জিনের সরকার প্রতিষ্ঠিত হল। পাওয়ারের দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা প্রফুল প্যাটেল, ছগনলাল ভুজবলও মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন।