
Kaliaganj | Calcutta High Court | কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যু নিয়ে পুলিশের রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের
কলকাতা: কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) নাবালিকার (Minor Girl) অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মেয়ের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনে সিবিআই (CBI) তদন্ত দাবি করে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চে মামলা করেন নিহত কিশোরীর বাবা। আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাসও একই দাবিতে জনস্বার্থ মামলা করেছেন আগেই। সেই মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার এই ঘটনার তদন্তে পুলিশ (Police) কী পদক্ষেপ করেছে তা জানতে চায় আদালত। মঙ্গলবারের মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছেন বিচারপতি মান্থা। ময়নাতদন্তের ভিডিয়ো ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট জানায়, নাবালিকার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। দেহে বিষক্রিয়ার প্রমাণ মিলেছ। রিপোর্ট দেখে সেটা বলুন। তারপর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের বিষয়ে ভাবা যাবে। সরকারি আইনজীবী সম্রাট সেন জানান, ২০ এপ্রিল দুই কিশোর, কিশোরী নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারকে বলা হলেও তারা অভিযোগ দায়ের করেনি। যদিও পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে গিয়েছে। ২১ এপ্রিল পুকুর পাড়ে মেয়েটির দেহ উদ্ধার হয়। একটি বোতল পাওয়া যায় পাশ থেকে। দেহ ময়নাতদন্তের পাঠানোর জন্য পরিবারের সহযোগিতা চাওয়া হয়। কিন্ত পরিবার সহযোগিতা করেনি, তারপর গন্ডগোল শুরু হয়। এরই মধ্যে কিছু অপরিচিত ব্যক্তি বাজারের সামনে দেহ রেখে আশপাশে টায়ার জ্বালিয়ে দেয়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে জনতা তাদের উপর হামলা করে। কোনওরকমে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বিচারপতি জানতে চান, পুকুরের পাশ থেকে দেহ কে সরিয়ে নিয়ে গেল। সরকারি আইনজীবী জানান, স্থানীয় মানুষই দেহ সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। সেখান থেকে হামলার মুখে দেহটি কিছুটা টেনে নিয়ে যেতে হয়। তার জন্য চার পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি, পাকস্থলীতে বিষ জাতীয় কিছু পাওয়া গিয়েছে। সবকিছুই ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে।
এই মামলায় এদিন জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনও অংশ নেয়। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী মঙ্গলবার।