Calcutta High Court | মল্লিকবাজারে ফুটপাথ ও রাস্তার জবর দখল সরাতে পুরসভাকে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
মল্লিকবাজার: মল্লিকবাজারের ফুটপাথ (Footpath) ও রাস্তার (Road) জবরদখল (Encroachment) সরাতে হবে। তার আগে ১০ দিনের নোটিশ দাও। সবকিছু সরানোর জন্য তিন দিন সময় দাও। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালাও। কলকাতা পুরসভাকে (Kolkata Municipality) নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পুলিশ কমিশনারকে (Police Commissioner) নির্দেশ, উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট দিতে হবে হাইকোর্টকে। ১৭ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
মল্লিকবাজার (Mallickbazar) মোড়েই রয়েছে প্রখ্যাত ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেস, কলকাতা। আচার্য জগদীশ চন্দ্র বোস রোডের (Acharya Jagadish Chandra Bose Road) ওপর। অথচ, ওই রাস্তা ও ফুটপাথের বিস্তৃত অংশ মোটর যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ীদের দ্বারা জবরদখল হয়ে রয়েছে। এমন অভিযোগে পুরসভার বক্তব্যের জবাবে প্রধান বিচারপতি টিএস শিভগননম জানান, জবরদখলকারীর জন্য কোনও পুরস্কার থাকতে পারে না। যদি দরদ থাকে, পুরসভা কোথাও মোটর বাজার জাতীয় বানিয়ে তাদের পুনর্বাসন দিতে পারে। অথবা, পুরসভা তাদের নিজের অফিসবাড়িতে ঠাঁই দিক। যদি পুরসভা কিছুই না করে, তাহলে নির্বাচিত পুর প্রতিনিধিদের বাতিল করে প্রশাসনের হাতে তা তুলে দেওয়া হতে পারে।
এই প্রসঙ্গে টাউন ভেন্ডিং কমিটির প্রসঙ্গ শুনানিতে উল্লেখ করে পুরসভা। কিন্তু, প্রধান বিচারপতি জানান, অন্তত ১৬ বছর আগে দেশের বিভিন্ন রাজ্য হকার পুনর্বাসনে উপযুক্ত আইন তৈরি করেছে। সেইমতো ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু, এখানে তা হয়নি কেন? তেমন আইনমাফিক ব্যবস্থাই বা নেওয়া হচ্ছে না কেন? বাঁধা দোকান ফুটপাথেও ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে। রাস্তাও দখল হয়ে যাচ্ছে। পুরসভা যদি তাই চায়, তাহলে রাস্তাটাই বন্ধ করে দেওয়া হোক। বহু জায়গায় ৪০ ফুটের রাস্তা ১৬-১৮ ফুট হয়ে গিয়েছে। বেঞ্চ জানায়, ভেন্ডর আর হকার আলাদা। সবজি জাতীয় জিনিস নিয়ে যারা ফুটপাথে বসে, তারা তিন-চার ঘন্টা ব্যবসা করে চলে যায়। কিন্তু, এই ভেন্ডররা পাকা দোকান করে ফুটপাথ দখল করে রেখেছে। এই হাইকোর্ট চত্বরেই অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু, দরকারে তা বার করাই কঠিন। জরুরি অবস্থায় রোগিকে নিয়ে যেতে হলে হয়তো হেলিকন্টার লাগবে।