
লালুপ্রসাদের জামিন খারিজের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই
নয়াদিল্লি: আবারও সমস্যায় আরজেডি সুপ্রিমো। খাদ্য কেলেঙ্কারিতে (Fodder Scam) লালুপ্রসাদ যাদবের (Laluprosad Yadav) জামিনকে (Bail) চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) গেল সিবিআই (CBI)। সিবিআই সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেছে। ২৫ অগাস্ট এই আবেদন শুনবে আদালত। ঝাড়খণ্ড আদালত আরজেডি প্রধানকে জামিন দিয়েছে। সম্প্রতি বিরোধী জোটের বৈঠকে লালুপ্রসাদ যাদবকে সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে। পাটনায় ২৩ জুন বিরোধীদের বৈঠকেও দেখা গিয়েছে লালুপ্রসাদ মধ্যমণি। বিরোধীদের বক্তব্য, সেই কারণে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করে নিশানা করা হচ্ছে।
গত ২৩ জুন ১৫টি বিরোধী দলের নেতারা পাটনায় (Patna) একজোট হয়েছিলেন। পাটনার বৈঠকে কংগ্রেস (Congress) সহ ১৭টি রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেয়, একসঙ্গে ২০২৪ সালের ভোটে লড়া হবে। যাতে বিজেপিকে (BJP) হারানো যায়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩২ জন নেতা প্রথম বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন। পাটনায় নীতিশ কুমারের বাসভবনে ওই বৈঠক হয়েছিল। তবে ওই বৈঠক বিএসপির মায়াবতী, বিজেডির নবীন পট্টনায়েক, বিআরএসের কে চন্দ্রশেখর রাও, ওয়াইএসআরসিপির ওয়াইএস জগমোহন রেড্ডি আমন্ত্রিত ছিলেন না। আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরী পারিবারিক অনুষ্ঠানের কারণে ওই বৈঠকে যোগ দেননি। নীতিশ কুমার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন সেখানে ১৭টি রাজনৈতিক দল ছিল। বিজেপি এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল।বলছিল বহু মাথার স্বার্থপর জোট।
বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য রাজনীতিতে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বলে জানা গিয়েছে। মমতা বৈঠকে বলেন, সকলকেই বড় মনের পরিচয় দেওয়া উচিত। যদি আমরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করি, তাহলে বিজেপি তার ফায়দা তুলবে। উল্লেখ্য, এর আগেই তৃণমূলনেত্রী বলেছিলেন, যে যেখানে শক্তিশালী সেখানে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী ফর্মুলায় তাদের আসন ছেড়ে দেওয়া উচিত ছোট দলগুলির।