Placeholder canvas
কলকাতা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |
K:T:V Clock

Kaliyagunj Incident | কালিয়াগঞ্জে টেনে-হিঁচড়ে দেহ উদ্ধার, সাসপেন্ড ৪ পুলিশকর্মী

Updated : 24 Apr, 2023 8:31 PM
AE: Hasibul Molla
VO: Soumi Ghosh
Edit: Monojit Malakar

রায়গঞ্জ: কালিয়াগঞ্জে মৃত নাবালিকার দেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চার পুলিশকর্মী কর্মীকে সাসপেন্ড করল জেলা পুলিশ। ওই চার জনই এএসআই পদমর্যাদার অফিসার। সোমবার রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সানা আখতার জানান, চার জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

গত শুক্রবার সকালে রায়গঞ্জের সাহেবঘাটায় এক রাজবংশী নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। বৃহস্পতিবার বিলেন থেকে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী নিখোঁজ ছিল। পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। স্থানীয় যে ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক ছিল, তার দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলা হয়। মৃতিদেহের খোঁজ মেলার পর থেকেই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ। পুলিশের সঙ্গে উত্তেজিত জনতার দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ চলে। পুলিশ লাঠি চালায়, ফাটানো হয় বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল। মৃতদেহ উদ্ধার করতে পুলিশকে বাধা দেয় জনতা।

ওই উত্তেজনার মধ্যেই পুলিশ কোনও মতে মৃতদেহটি টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায়। সেই দৃশ্যের ভিডি্যো ভাইরাল হয়ে যায়। যদিও তার সত্যতা কলকাতা টিভি ডিজিটাল যাচাই করেনি। ওই ভিডিয়োটি পৌঁছে যায় জাতীয় মহিলা কমিশন এবং জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের হাতে। মহিলা কমিশন কালিয়াগঞ্জের ঘটনা বিস্তারিত রিপোর্ট তিন দিনের মধ্যে পাঠানোর নির্দেশ দেয় রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। একই সঙ্গে মৃতদেহ টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ভিডিয়োর সত্যতা যাচাইয়েরও নির্দেশ দেওইয়া হয়। শাসকদলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষও ওই দৃশ্যকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, বিজেপি এইমৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে।

জেলার পুলিশ সুপার ওই ঘটনা সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন, তখন মৃতদেহ উদ্ধার করাই ছিল পুলিশের অগ্রাধিকার। কিন্তু পুলিশের উপর সমানে আক্রমণ চলে। সেই আক্রমণের মধ্যেই পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। যদিও যে পুলিশ কর্মীরা শুক্রবার দেহটি টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁরাও ওই ভয়াবহতায় শিউরে ওঠার কথা জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। বিজেপি ওই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে। একই দাবিতে এক আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন সোমবার। মৃতার পরিবারও ঘটনার সিবিআই তদন্ত চাইছে। নানা চাপের মুখে পড়েই পুলিশ এদিন চার এএসআইকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করে।