Placeholder canvas
কলকাতা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |
K:T:V Clock

কেন্দ্রীয় সরকারের জায়গাগুলি ডেঙ্গির আতুর ঘর, দাবি বনমন্ত্রীর

Updated : 26 Sep, 2023 9:15 PM
AE: Samrat Saha
VO: Soumi Ghosh
Edit: Silpika Chatterjee

বারাসত: কেন্দ্রীয় সরকারের জায়গাগুলিই ডেঙ্গির (Dengue) আতুর ঘর। এমন দাবি করলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Forest Minister Jyotipriya Mullick)। সোমবার বারাসতে (Barasat) জেলাশাসকের কার্যালয়ে এক বৈঠকে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা বলেন তিনি। তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিৎে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

এদিন উত্তর ২৪ পরগনার ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে জেলাশাসকের দফতরে আলোচনা হয়েছে। মোকাবেলা করার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও সাফাই ছাড়াও চিকিৎসা পরিষেবার পরিকাঠামো বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে পুরসভা পঞ্চায়েত ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪০২ জন। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে ৫ হাজার ৪৪৬ ও গ্রামাঞ্চলে ২ হাজার ৯৫৬ জন আক্রান্ত। গত এক সপ্তাহে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৮৬ জন। চলতি বছরে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিধাননগর পুর এলাকায় ১ হাজার ৯১৬, দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় ৯১৭, বারাসত পুরসভা এলাকায় ২৩৯ জন আক্রান্ত। গ্রামাঞ্চলের মধ্যে আমডাঙা ব্লকে ৪৭৬, বনগাঁ ব্লকে ৬৩২, হাবড়া ২ নম্বর ব্লকে ৩৭৭, রাজারহাট ব্লকে ২৭৯ এবং দেগঙ্গা ব্লকে ১৯৯ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন।

বনমন্ত্রী ডেঙ্গি প্রকোপ বৃদ্ধিতে রেল সহ কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থাগুলোর অপরিস্কার জমিকে ডেঙ্গির আতুর ঘর বলে দাবি করেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বনগাঁ ব্লকের পর আক্রান্তের ব্লক হল আমডাঙা। এই ব্লকের গাদামারা এলাকায় সব থেকে প্রকোপ বেশি। অথচ এখানে নেই কোনও কেন্দ্রীয় সরকারের অফিস বা জমি।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, নিকাশি ব্যবস্থা ও লাগামহীন প্লাস্টিকের ব্যবহারের ফলে সব জায়গায় পড়ে থাকে। প্রবাহিত না হওয়া নর্দমার জমা জলে জন্ম নিচ্ছে ডেঙ্গি মশা পাশাপাশি বেশি পরিমাণ জলে কম পরিমাণ দামী লার্ভিসাইট ওষুধ অনিয়মিত দেওয়া হচ্ছে নর্দমায়। ফলে মশার লার্ভা নষ্ট হচ্ছে না। শহরের নর্দমার তলদেশ অবৈজ্ঞানিকভাবে হওয়ায় ঢাকা ও খোলা নর্দমায় জমে থাকে জল। সেখানেই জন্ম নিচ্ছে ডেঙ্গি মশা।