
৩ বছর পর খুলছে চামুর্চি ইকো পার্ক
বানারহাট: প্রায় তিনবছর বন্ধ থাকার পর অবশেষে পুজোর আগেই খুলে যাচ্ছে ডুয়ার্সের চামুর্চি ইকো পার্ক। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় জঙ্গলে ভরে যাওয়া পার্কটি সাফাই ও মেরামতের কাজ শুরু করেছে পার্কের দায়িত্ব পাওয়া সংস্থা। এই খবর শোনা মাত্রই খুশি বানারহাটের ভুটান সীমান্তের চামুর্চি অঞ্চলের ব্যাবসায়ী তথা সাধারণ মানুষ।
তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর এলাকায় পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য সরকার ২০১৬ সালে এই পার্কটি তৈরি করে। এরপর পার্কটি যথারীতি প্রচারে এসে ভালোই চলছিল। এরপর করোনা ভাইরাসের সময় থেকে ইকো পার্কটির একেবারে মুখ থুবরে পড়ে। ধুপগুড়ি ব্লক ভেঙে বানারহাটকে আলাদা ব্লকে ঘোষণার পর প্রশাসনিক কিছু সমস্যার কারণে পার্কটির টেন্ডার করতে সমস্যা হচ্ছিল। ফলে ভুটান সীমান্তের গড়ে ওঠা এই পর্যটনকেন্দ্র মুখথুবড়ে পড়ে। পর্যটনে ঘুরে দাঁড়াতে চামুর্চি ইকো পার্কটি খোলার দাবি নিয়ে একাধিকবার সরব হয় স্থানীয়রা। শেষ পর্যন্ত বানারাহাট পঞ্চায়েত সমিতির তত্বাবধানে থাকা পার্কটি টেন্ডার করে স্থানীয় একটি সংস্থাকে দেওয়া হয়। পার্কটি পুজোর আগেই খুলে যাক এই দাবি স্থানীয়দের।
উল্লেখ্য, বানারহাট থেকে ভারত-ভুটান সড়ক দিয়ে ১০কিমি গেলেই চামুর্চি বাজার। তার ডানদিকে ভুটান পাহাড় ও মনোরম দৃশ্যের কথা মাথায় রেখে ভারত-ভুটান সীমান্তে থাকা পাহাড়ের কোলে নৈসর্গিক পরিবেশে চামুর্চী বাজার থেকে প্রায় দুই কিমি। ২০১৬ সালে তৈরি করা হয়েছিল চামুর্চী ইকো পার্ক। তৎকালীন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব এই পার্কের উদ্বোধন করেছিলেন। প্রতিবেশী ভুটান দেশ থেকে বয়ে আসা সুখরেতী ও খানাভর্তী দুই নদীর ধারে হিমেল শীতল পরিবেশে আকৃষ্ট করেছিল পর্যটকদের। কিন্তু শুরুর কয়েক বছর পরেই তার রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পার্কে থাকা চারটে ডিলাক্স, দুটো স্টান্ডার্ড, একটি ডর্মিটরি রুম নিয়ে পার্কটি পর্যটকদের কাছে খোলা হয়।