Placeholder canvas
কলকাতা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |
K:T:V Clock

Mamata Banerjee | নবান্নে পর্যালোচনা বৈঠক, ১০৯টি প্রকল্পের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা

Updated : 26 Apr, 2023 3:08 PM
AE: Hasibul Molla
VO: Soumi Ghosh
Edit: Monojit Malakar

কলকাতা: বুধবার নবান্ন (Nabanna) সভাঘরে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে এদিন বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সভাঘরে রাজ্য স্তরের ওই পর্যালোচনা বৈঠকে রাজ্যের সমস্ত দফতরের শীর্ষ আমলা ও পদস্থ কর্তাদের বাধ্যতামূলকভাবে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এই বৈঠকে জেলা আধিকারিকরাও ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতির হিসেব নেওয়ার পাশাপাশি শতাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনও করবেন। আজকের এই বৈঠক থেকে তিনি ১,১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পূর্তদফতরের সেতু, রাস্তা সহ ১০৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই পরিকাঠামোগুলি গড়ে উঠেছে। আবার, পথশ্রী-রাস্তাশ্রী প্রকল্পের অধীনে নির্মিত কিছু গ্রামীণ রাস্তারও উদ্বোধন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।

নবান্ন সূত্র খবর, মুখ্যমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধন হওয়া প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু। এর মধ্যে তিনটি উল্লেখ্যযোগ্য সেতু হল বাঁকুড়ার সেতুঘাটের সেতু, চন্দ্রকোনা-ঘাটালে তৈরি নতুন সেতু, ঝাড়গ্রাম জেলার দেব নদীর উপর সেতু। এই তিনটি সেতু নির্মাণে মোট খরচ হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা।এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাজেট বক্তৃতায় প্রথম বার পথশ্রী ও রাস্তাশ্রী প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ২৮ মার্চ সিঙ্গুর থেকে গ্রামীণ রাস্তা তৈরির এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এক রাজ্য সরকারি আধিকারিকের কথায়, এক মাসের কম সময়ে পথশ্রী ও রাস্তাশ্রী প্রকল্পে অনেক রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এই সময়ে যে সব রাস্তা তৈরি সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে, সেগুলিই উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

নবান্ন সূত্রে আরও খবর, এপ্রিল মাসে যে দুয়ারে সরকার শিবির শুরু হয়, সেখানে সাড়ে ১০ লক্ষ লক্ষ্ণীর ভাণ্ডারের আবেদন গৃহীত হয়েছে। তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা পাঠানোর সূচনাও করতে পারেন মমতা। উল্লেখ্য, এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার নির্দেশ পাঠানোর পাশাপাশি সব দফতরকে তাঁদের কাজের পর্যালোচনার রিপোর্ট ১৯ এপ্রিলের মাধ্যমে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। মন্ত্রী-আমলারা মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশ মতোই ১৯ তারিখের মধ্যে তাঁদের দফতরের কাজের খতিয়ান জমা দিয়েছেন। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে আজকের এই বৈঠক।