Cyclone Biparjoy | গুজরাতে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’! ৬ জেলায় জারি লাল সতর্কতা
রাজকোট: আরব সাগরে উৎপন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ (Cyclone Biparjoy) ইতিমধ্যেই অতি শক্তিশালী আকার ধারণ করেছে। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগামী ১৫ জুন গুজরাতের (Gujrat) কচ্ছ উপকূলে আছড়ে পড়বে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। সেই সময় হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১২৫ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। কেবলমাত্র আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তই নয়, গুজরাতের কচ্ছ উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। কোনও উপকূলবর্তী এলাকায় এবং সমুদ্র পাড়ে জমায়েত করা যাবে না। ১৬ জুন পর্যন্ত জারি থাকবে ১৪৪ ধারা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘূর্ণিঝড়টি কচ্ছ জেলার জাখাউ বন্দরের কাছে আছড়ে পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ১৪ জুনও প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হবে গুজরাটে। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তায় বিশেষভাবে অ্যালার্ট করা হয়েছে গুজরাতকে। কচ্ছ, পোরবন্দর, দেবভূমি দ্বারকা, জামনগর, জুনাগড়, মোরবি এলাকায় এই ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা। এই সমস্ত জেলায় উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমস্ত বন্দর সংলগ্ন এলাকায় অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
বিপর্যয় এড়াতে ইতিমধ্যে পশ্চিম রেলওয়ের বহু ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। গুজরাট ছাড়াও, সাইক্লোন বিপর্যয় মোকাবিলায় মুম্বইয়ে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দুটি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। এনডিআরএফ দলগুলি যথাক্রমে পশ্চিম এবং পূর্ব শহরতলির আন্ধেরি এবং কাঞ্জুরমার্গ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। মুম্বই এয়ারপোর্ট পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে। প্রয়োজনে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। পাশাপাশি পুনের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও প্রস্তুত বলে জানা গিয়েছে।
আইএমডি-র তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬৫ থেকে ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত আরব সাগরে ১৩টি সাইক্লোন তৈরি হয়েছে। এরমধ্যে দুটি গিয়েছে গুজরাটের উপকূলবর্তী এলাকা দিয়ে, একটি মহারাষ্ট্র, একটি পাকিস্তান এবং তিনটি ওমান ও ইয়ামেনের উপকূলবর্তী অংশের মধ্য দিয়ে।” ২০২৩-এর আগে পর্যন্ত মাত্র দুটি সাইক্লোন গুজরাটের উপকূলবর্তী এলাকা দিয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালের সাইক্লোনটি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং ১৯৯৮টি অতি শক্তিশালী সাইক্লোন ছিল। আরব সাগরে ৬ জুন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তৈরি হয়েছিল সাইক্লোন বিপর্যয়। এরপর সাত দিন কেটে গিয়েছে। ১৯৬৫ সাল থেকে এটি তৃতীয় সাইক্লোন যা পশ্চিমের রাজ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে
বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রশাসন কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য সোমবার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পানীয় জল থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবা, সমস্ত দিক থেকে যাতে প্রশাসন প্রস্তুত থাকে সেই বিষয়ে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি জীব জন্তুদের সুরক্ষার দিকেও যাতে বিশেষ নজর দেওয়া হয় সেই বিষয়েও সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী।