
মধ্যরাতের আগেই রাজ্যপালের দুই চিঠি নিয়ে জল্পনা
কলকাতা: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে। চ্যালেঞ্জ মোতাবেক শনিবার ভোররাতে পদক্ষেপ করেলন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। খাম বন্দি দুটি চিঠি পাঠানো হল রাজভবনের তরফে, একটি দিল্লিতে আর অপর একটি নবান্নে। যদিও চিঠি দুটি কার কাছে পাঠানো হয়েছে সে বিষয়টি এখনও অস্পষ্ট। তবে বোসের এই পদক্ষেপের জেরে খুব স্বাভাবিকভাবেই বংগো রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনার সৃষ্টি করেছে।
শুক্রবার বিকাশ ভবনে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি ডেকেছিলেন ৩১ জনকে। বৈঠকে যোগদেন মাত্র ১২ জন। বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন শিক্ষামন্ত্রী অভিযোগ করেন রাজভবন থেকে অনেক রেজিস্ট্রারকে আসতে নিষেধ করা হয়েছিল। এমনকী হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। ব্রাত্য বলেন, অনুপস্থিত অনেক রেজিস্ট্রার আমাকে রাজভবনের এই হুমকির কথা জানিয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, কে হাড়হিম করা সন্ত্রাস চালাচ্ছে, কে হুমকি দিচ্ছে আপনারাই বলুন। তিনি আরও বলেন, আগে ভেবেছিলাম, রাজ্যপাল আলাউদ্দিন খিলজি। এখন দেখছি তিনি ‘মহম্মদ বিন তুঘলক’।
শনিবার ব্রাত্য বক্তব্যের পাল্টা জবাব দেন রাজ্যপাল। কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তা নিয়ে দিনভোর জল্পনা চলে। তারপর এদিন বিকালে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে রাজভবনে তলব করা হয়। সেখানে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠক চলে। যদিও তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়, তা স্পষ্ট হয়নি। এরপর অবশেষে মধ্যরাতে রাজভবনের তরফে দুটি চিঠি পাঠানো হয়।