Placeholder canvas
কলকাতা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |
K:T:V Clock

‘এক দেশ, অভিন্ন নির্বাচন’ নিয়ে কমিটি গঠন কেন্দ্রের, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ পেলেন দায়িত্ব

Updated : 1 Sep, 2023 8:07 PM
AE: Hasibul Molla
VO: Rachana Mandol
Edit: Silpika Chatterjee

নয়াদিল্লি: সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার পরদিনই, শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার ‘এক দেশ, অভিন্ন নির্বাচন’ তত্ত্বকে আইনে পরিণত করতে কমিটি গঠন করল। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে এই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর। চলবে ২২ তারিখ পর্যন্ত। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি বৃহস্পতিবার এক্স বার্তায় একথা জানান। তারপর এদিনই এক দেশ, অভিন্ন নির্বাচন নিয়ে কমিটি গঠনের তৎপরতায় রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।

এই বিশেষ অধিবেশনে যে এই বিষয়টি নিয়েই বিল পেশ এবং পাশ করানোর চেষ্টা হতে পারে, তা মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কমিটি কেবলমাত্র আইনের যৌক্তিকতা এবং যুগোপযোগিতা নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করবে তাই নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্য পৌঁছানোর চেষ্টা করবে। যাতে এটা খুব সহজেই সংসদে পাশ হয়ে যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পর থেকেই নরেন্দ্র মোদি দেশে অভিন্ন নির্বাচনের পক্ষে জোরালো সওয়াল করে আসছেন। কারণ, মোদির দাবি, প্রায় প্রতিবছর কোথাও না কোথাও ভোট থাকার ফলে আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ায় উন্নয়নকাজ ব্যাহত থমকে যায়। তিনি অসংখ্যবার এনিয়ে ঐকমত্য গঠনের কথা বলে আসছেন।

উল্লেখ্য, ইতিহাস বলে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত দেশে লোকসভা এবং বিধানসভাগুলির ভোট একসঙ্গেই হতো। কিন্তু, কিছু রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হওয়ার পর থেকে এই ধারা কেটে যায়। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর মোদি এ বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি সর্বদলীয় বৈঠকও ডেকেছিলেন। কিন্তু, সেই বৈঠক অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এড়িয়ে যায়। কমিটি গঠন ও বিল নিয়ে উদ্যোগের বিষয়ে সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা বলেছেন, মোদি চাইছেন এক দেশ, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা। আসলে ইন্ডিয়ার ছাতার তলায় বিরোধীদের একজোট হতে দেখে ভয় পেয়েছেন মোদি।
আচমকা পাঁচদিনের জন্য সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকায় রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি গতকালই জানান, সপ্তদশ লোকসভার ত্রয়োদশ এবং ২৬১ তম রাজ্যসভার অধিবেশন ডাকা হয়েছে ১৮-২২ সেপ্টেম্বর। এই পর্বে পাঁচটি সভা বসবে।

উল্লেখ্য, বিশেষ অধিবেশন কী কারণে ডাকা হচ্ছে, সে বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর জি ২০ সম্মেলনের পরপরই বিশেষ অধিবেশন ডাকা নিয়ে জল্পনা তৈরি হচ্ছে। জোশি বলেছেন, অমৃতকালের আবহে ফলপ্রসূ আলোচনা এবং বিতর্ক গড়ে তোলার জন্য এই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হচ্ছে। এক্স বার্তায় জোশি পুরনো সংসদ ভবনের সঙ্গে নতুন ভবনেরও ছবি পোস্ট করেছেন। প্রসঙ্গত, গত মাসেই সদ্য শেষ হয়েছে বিতর্কিত বাদল অধিবেশন। যা পুরনো বাড়িতেই হয়েছিল। বাদল অধিবেশনের পর সাধারণত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ নাগাদ শীত অধিবেশন বসে।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিশেষ অধিবেশন ডেকে ঢাক পিটিয়ে কাজ শুরু হবে নতুন সংসদ ভবনের। একাংশের মতে, জি ২০ বৈঠকের পরপরই বিশেষ অধিবেশন ডেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভারতের উজ্জ্বল অবস্থানকে দেশের কাছে তুলে চাইছে সরকারপক্ষ। অথবা পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের বছরে এবং আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে বেশ কিছু উন্নয়ন-খয়রাতির ঘোষণা করতে পারে সরকারপক্ষ। অধিবেশনের পরেই ভোটের দামামা বাজিয়ে দেওয়া হবে বলেও অনেকের অনুমান।