Placeholder canvas
কলকাতা রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |
K:T:V Clock

বৃষ্টি-ভূমিধসে বিপর্যস্ত হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৬, জোশীমঠের বেশ কিছু বাড়িতে ভাঙন

Updated : 16 Aug, 2023 9:38 PM
AE: Hasibul Molla
VO: Soumi Ghosh
Edit: Silpika Chatterjee

সিমলা: একটানা বৃষ্টির জেরে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) এবং হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh)। রবিবার রাত থেকে একটানা বর্ষণের জেরে উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচলে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর মিলছে। তবে হিমাচল প্রদেশের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ।

একাধিক রাস্তায় ধস নেমে যোগযোগ বিচ্ছিন্ন (Heavy Rain in Himachal and Uttarakhand)। পাহাড়ি নদীগুলির জলের তোড়ে ভেসে গেছে অসংখ্য বাড়ি। ফের ধস নেমেছে হিমাচলের বিলাসপুর জেলায়। যার জেরে বন্ধ করে দিতে হয়েছে ২০৫ নম্বর জাতীয় মহাসড়ক। পড়শি রাজ্য উত্তরাখণ্ডে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সরকারি হিসেবে নিখোঁজ ১০ জন। বেসরকারিভাবে এই সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি বলে দাবি। স্বাধীনতা দিবসের দিন ভাষণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)।

মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে মঙ্গলবার রাতে শিমলায় বৈঠকে বসেছিলেন।হিমাচলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল, কলেজ বুধবার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখা হতে পারে বলেও প্রশাসন সূত্রে খবর। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দু’দিনও আবহাওয়ার কোনও বদলের সম্ভাবনা নেই। একইরম বৃষ্টি চলবে। হিমাচল সরকার জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ফেরানো হবে। পানীয় জল সরবরাহও স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। 

হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বলেছেন, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ চলছে। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, হান্ডিগড়-শিমলা ৪ লেনের হাইওয়ে সহ অন্য বেশ কয়েকটি রাস্তা খোলা হয়েছে। এই সংকটের সময় পর্যটকদের ওই রাজ্যে না যাওয়ারও অনুরোধ করেছেন তিনি।  
 
শিমলা, সম্বল, পান্ডোহর পরিস্থিত ভয়াবহ। মান্ডি জেলায় সাতজন সোমবার হড়পায় ভেসে গিয়েছেন। ভূমিধসের ফলে রাজ্যে ৭৫২টি রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
 
প্রসঙ্গত, মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধসে বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সিমলার। এখানেই তাসের ঘরের মতো ধসে পড়েছে একটি শিব মন্দির। আর সেই মন্দির চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বহু পুণ্যার্থীর। এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এঁরা সকলেই শ্রাবণ মাস উপলক্ষ্যে ওই মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢালতে, পুজো দিতে গিয়েছিলেন। ধ্বংসাবশেষের নীচে এখনও অনেকে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। এছাড়াও, উত্তরাখণ্ডেও দুর্যোগ-বিধ্বস্ত এলাকায় আজও উদ্ধারকাজ চলছে। বন্ধ বহু রাস্তা। ঝুঁকি এড়াতে স্থগিত করা হয়েছে চারধাম যাত্রাও।