টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫১
সিমলা: এক দিকে হিমাচল প্রদেশ, অন্য দিকে উত্তরাখণ্ড, উত্তর ভারতের এই দুই রাজ্য বৃষ্টি, বন্যা পরিস্থিতি আর ভূমিধসের জেরে কার্যত বিপর্যস্ত জনজীবন। আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, শুধুমাত্র হিমাচলেই মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের। ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তরাখণ্ডে। এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি কমার কোনও আভাস দেয়নি মৌসম ভবন। বরং জানানো হয়েছে, দুই রাজ্যের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে।
ইতিমধ্যে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন থেকে শুরু করে উধম সিংহ নগর, নৈনিতাল, চম্পাবতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে রাজ্যের বেশির ভাগ নদীগুলি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি হরিদ্বার এবং হৃষীকেশে। গঙ্গার জলও যে বিপদসীমা ছাড়িয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ঘরবাড়ি ছাড়া বহু মানুষ। হৃষীকেশে পরমার্থ নিকেতন আশ্রমের কাছে যে বিশাল শিবমূর্তি রয়েছে, সেই মূর্তির নিম্নভাগ ডুবে গিয়েছে।
সোমবার সিমলার সামার হিল এলাকায় একটি শিবমন্দির ভেঙে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। পৃথক আরও দুটি ঘটনা মিলিয়ে মোট ২১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অন্যদিকে, উত্তরাখণ্ডের মালদেবতা এলাকায় এদিনই দেরাদুন ডিফেন্স কলেজ টানা বৃষ্টিতে ধসে পড়ে।
এদিন ছিল শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার সে কারণে প্রাচীন এই শিবমন্দিরে বৃষ্টি উপেক্ষা করেও বহু জনসমাগম হয়েছিল। তখনই আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মন্দিরটি। তার তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ৯ জনের। এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন অনেকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজে তদারকি করছেন।