
Cattle Smugling Chargesheet| সীমান্তে কীভাবে গরু পাচার হয়েছে চার্জশিটে তা উল্লেখ করল ইডি
কলকাতা: কীভাবে গরু পাচার (Cattle Smuggling) হত ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে চার্জশিটে (Chargesheet) তা উল্লেখ করল ইডি। এই ঘটনায় ইডির (ED) চার্জশিটে (Chargesheet) অভিযুক্ত করা হল বিএসএফকেও (BSF)। কারা কীভাবে গরু বীরভূমের (Birbhum) স্থানীয় বাজার থেকে কিনে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) সীমান্ত এলাকায় (Border Area) পৌঁছে দিত তার বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। ইডি চার্জশিটে জানিয়ছে, মহম্মদ এনামূল হক, মহম্মদ গোলাম মোস্তাফা, মহম্মদ আনসারুল শেখ বিএসএফের সাহায্যে বাজেয়াপ্ত গবাদি পশু (Cattle) খুব কম দামে কিনত। পরে সেগুলিই ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা দিয়ে পাচার করা হত।
সিবিআইয়ের (CBI) ফাইল করা চার্জশিটে এটাও উল্লেখ করা হয়েছে, মহম্মদ এনামূল হক ও তার দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী আব্দুল লতিফ শেখ ওরফে হিঙ্গল ও মহম্মদ আতিকুর রহমান কুরেশি ইলামবাজারে গরুর হাট থেকে গরু কিনত। এছাড়া বীরভূম, পান্ডুয়া, হুগলি থেকে কেনা হয়েছে গরুগুলি। আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকা থেকে অন্তত ৭-৮ কিমি দূরে তাদের রেখে দেওয়া হত। তারপর স্থানীয়দের দিয়ে ছোট ছোট দলে গরুগুলিকে কৌশলে সীমান্তে পাঠানো হত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাতে পাঠানো হত। এরপর এনামূল হক কথা বলে রাখতেন। তারপর নির্দিষ্ট সময়ে সেগুলিকে পাচার করা হত। মহম্মদ এনামূল হকের সঙ্গে বিএসএফের যোগসাজশ থাকায় ওই গরুগুলি কোনও বাধা পেত না। ফলে অবাধেই সেগুলি পাচার হয়ে যেত। তারপর স্থানীয় রাখালদের দিয়ে গরুগুলিকে সীমান্তে বাংলাদেশের লোকেদের হাতে দিয়ে দেওয়া হত।
আব্দুল লতিফেরও কাজ ছিল স্থানীয় হাট থেকে গরু কেনা। এরপর সেগুলি বিভিন্ন রাস্তা নজরদারিতে পার করে মুর্শিদাবাদাদের ওমরপুরে সোনারবাংলা হোটেলে পৌঁছে দেওয়া। বলা যায় সোনার বাংলা হোটেল ছিল গরু পাচারের মূল কেন্দ্র। সেখান থেকে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত কাছে তাই সেই জায়গাটিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। পরে রাত ১১টা থেকে ভোর ৩টের মধ্যে গরু পাচার করা হত।
এদিকে ইডি চার্জশিটে জানিয়েছে, দুটি ৫০ লক্ষ টাকার এবং একটি ১ কোটি টাকা মূল্যের লটারির টিকিট কিনেছিলেন অনুব্রত। তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে কালো টাকা সাদা করতে জেতা লটারির টিকিট কিনে নিতেন অনুব্রত। বোলপুরের লটারি বিক্রয় কেন্দ্র গাঙ্গুলি লটারি এজন্সির সঙ্গে অনুব্রত বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমে বোঝাপড়া করে নিয়েছিলেন। কেউ পুরস্কার পেলেই সেই খবর পৌঁছে যেত অনুব্রতর কাছে। অনুব্রত তাঁর ঘনিষ্ঠ কাউকে দিয়ে পুরস্কার জয়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করতেন।