Placeholder canvas
কলকাতা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |
K:T:V Clock

বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি কমাবেন যেভাবে

Updated : 18 Aug, 2023 10:47 PM
AE: Hasibul Molla
VO: Rachana Mandol
Edit: Silpika Chatterjee

এখনকার ছোট বাচ্চাদের বেড়ে ওঠার অন্যতম সঙ্গী হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন। অনেক বাবা-মা তাঁদের শিশুকে খাওয়ার সময় গল্প শোনান না, হাতে ধরিয়ে দেন স্মার্টফোন। যার কারণে শিশুরাও আসক্ত হচ্ছে স্মার্টফোনে। এবার যত দিন যায় বাচ্চাদের ওই ফোনের প্রতি আসক্তি কমে না বরং বাড়তে থাকে। শহরের ফ্ল্যাট বাড়িতে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলার উপায় নেই। আবার কর্মব্যস্ত বাবা-মা সেভাবে সময় দিতে না পেরে বাচ্চাকে ছোট থেকেই ফোন ধরিয়ে দেন। তবে শিশুর মোবাইল ফোন আসক্তি কমাতে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। বকুনি দিয়ে কিংবা মেরে শিশুকে শাসন করবেন না কিংবা তার কাছ থেকে স্মার্টফোন কখনো কেড়ে নিবেন না। বুঝিয়ে যত্ন সহকারে তার মধ্যে অন্য কাজের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে হবে। জেনে নিন সেসব-

স্ক্রিন টাইমিং: শিশুর কাছে যে মোবাইল ফোন বা ডিভাইস দিচ্ছেন সেটি স্ক্রিন টাইমিং নির্ধারন করে দিন। এতে নির্দিষ্ট সময় পর আপনাআপনি ফোন বন্ধ হয়ে যাবে।

ইন্টারনেট সংযোগ রাখবেন না: শিশুর মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ রাখবেন না। ফলে অল্প যে কয়েকটি ভিডিও বা গেম ডাউনলোড করে রাখছেন সেগুলোই শিশু দেখবে।

ঘরে খেলার ব্যবস্থা করুন: শিশুর জন্য ঘরেই খেলার পরিবেশ তৈরি করে দিন। এতে শিশু বাইরে যেতে না পারলেও ঘরেই নিজের মতো খেলতে পারবে।

ধাঁধার সমাধান করতে দিন: পাজল গেম শিশুর মানসিক বিকাশে উন্নত করে। পাজলের অংশ মিলিয়ে পৃথিবীর ম্যাপ হলো বা কোনো ছবি তৈরি হলো। সেরকম খেলায় নিয়োজিত করুন শিশুকে। একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে এ কাজ করার জন্য। খেলার ছলে শিশুর মানসিক বিকাশও হবে এর ফলে। নির্দিষ্ট সময়ের পাজল মিলিয়ে ফেলতে পারলে শিশুকে একটি ছোট্ট উপহারও দিতে পারেন। এতে তার মধ্যে খেলার ইচ্ছেও জন্মাবে।

ছবি আঁকা: রং নিয়ে খেলা করলে শিশুর মানসিক বিকাশ ঘটে। এর ফলে শিশুরা নতুন কিছু তৈরি করার চেষ্টা করে। আপনার শিশুকে রং পেন্সিল কিনে দিন। ছবি আকার জন্য খাতা দিন। মনের মতো আঁকতে বলুন। রং নিয়ে খেলা করলে শিশুর মন ভালো হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে ছবি আঁকার দক্ষতাও বাড়বে।

বিকল্প দিন: আপনার সন্তানের যে কাজে মনোযোগ তাকে সেটি করতে দিন। নাচ, গান বা খেলাধুলা যা সে করতে চায়, তা করার জন্য উৎসাহ দিন। তাহলে স্মার্টফোনের প্রতি আসক্তি কমতে শুরু করবে। যে সময়টি যে ফোনের স্ক্রিনে চোখ রেখে কাটায়; এর বিকল্প কিছু করানোর চেষ্টা করুন।