চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে নতিস্বীকার করল পাকিস্তান!
কলকাতা: অনড় অবস্থান আর ধরে রাখতে পারল না পাকিস্তান। বিসিসিআই (BCCI) এবং আইসিসির (ICC) চাপের মুখে নতিস্বীকার করতেই হল। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের দাবি অনুযায়ী হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) আয়োজনে রাজি হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB)। এতদিন ধরে পাকিস্তানেই সব ম্যাচ আয়োজনে অনড় ছিল পিসিবি। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, টুর্নামেন্ট আয়োজনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার ভয়েই নতিস্বীকার করল তারা।
পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি (Mohsin Naqvi) দুবাইয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “আমি এ নিয়ে বেশি মন্তব্য করব না, কারণ তাতে গন্ডগোল হতে পারে। আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আইসিসিকে জানিয়েছিলাম, ভারতীয়রাও তাই করেছিল। প্রচেষ্ট হচ্ছে সবার দিকটাই বজায় রাখার।”
নকভি আরও বলেন, “জেতা উচিত ক্রিকেটের, সেটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, তবে তা সবার সম্মান করে। যা ক্রিকেটের জন্য সঠিক তা-ই করব আমরা। যে ফর্মুলাতেই এগোই না কেন, তা সবার দিক দেখে।”
সূত্র বলছে, এতদিনের দাবি থেকে সরে এসে নমনীয় এমনিই হয়নি পিসিবি, পাল্টা কিছু দাবিও আইসিসির কাছে রেখেছে তারা। যেমন, আগামী ২০৩১ সাল পর্যন্ত যে সব আইসিসি ইভেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব ভারতের, সেখানেও হাইব্রিড মডেলের দাবি জানিয়েছে পাকিস্তান। আগামী সাত বছরে চারটি আইসিসি প্রতিযোগিতা আয়োজন করবে বিসিসিআই। ২০২৬ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যুগ্মভাবে টি২০ বিশ্বকাপ এবং ২০৩১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে যুগ্মভাবে ওডিআই বিশ্বকাপ আছে। এছাড়া এককভাবে ২০২৯-এ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং ২০২৫ সালে মেয়েদের ওডিআই বিশ্বকাপ রয়েছে।
রিপোর্ট বলছে, হাইব্রিড মডেল মেনে নেওয়ার বিনিময়ে আইসিসি-র কাছে বেশি পরিমাণে লভ্যাংশ দাবি করেছে পিসিবি। বর্তমানে ভারতের (৩৮ শতাংশ) থেকে ছয় শতাংশ কম লভ্যাংশ পায় তারা। ইতিমধ্যেই আয়োজনের যে ফি, ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাকিস্তানকে তার থেকে অনেক বেশিই দিচ্ছে আইসিসি। পিসিবির আরও লভ্যাংশের দাবি সম্ভবত নাকচ করতে চলেছে আইসিসি।