Father’s Day | জুন মাসের তৃতীয় রবিবার ফাদার্স ডে, জানুন কীভাবে শুরু হয়েছিল এই বিশেষ দিন
কলকাতা: মায়েদের যেমন কোনও বিশেষ দিন হতে পারে না বাবাদের ক্ষেত্রেও তাই। পৃথিবীর সুন্দর সম্পর্কগুলির মধ্যে একটি হল বাবা ও সন্তানের সম্পর্ক। বাবা শব্দটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভালোবাসা, নির্ভরতা ও ভরসার ছায়া। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে বাবা-মা দুজনই সন্তানকে লালনপালন করে বড় করে তোলেন। প্রায় সব বাবারাই তাদের সন্তানের কাছে বটবৃক্ষসম। হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও আমাদের জীবনকে আরও উন্নত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যান তাঁরা। বাবাদের স্মমান জানাতে প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস (Father’s Day) পালন করা হয়। এবছর পিতৃ দিবস ১৮ জুন। বিশ্বের প্রায় ৮৭ টি দেশে পালিত হয় এই দিনটি। পিতৃ দিবসের সূচনা হয়েছিল মার্কিন মুলুকে। এর নেপথ্যে রয়েছে একাধিক গল্প।
জানা যায়, ১৯৯০ সালে ওয়াশিংটনে প্রথম পালিত হয়েছিল দিনটি। সোনোরা স্মার্ট ডড নামে এক মাতৃহারা মহিলার বাবা কাজ করতেন সেনা বাহিনীতে। তিনি খুব কষ্টে তাঁর ছেলে-মেয়েদের বড় করেছিলেন। তাঁর এই কস্তকে সম্মান জানাতেই তাঁর মেয়ে সোনেরা ফাদার্স ডে পালন করেন। তিনি ৫ জুন দিনটি পালন করতে চেয়েছিলেন। কারণ সেদিন ছিল তাঁর বাবার জন্মদিন।
অন্যদিকে, অনেকেরই মোট সোনেরারের আগেও পালিত হয়েছে ফাদার্স ডে ১৯০৮ সালে ৫ জুন পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টের গির্জায় দিনটি পালিত হয়েছিল। এই নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। সোনোরার আর তাঁর সঙ্গীরা ফাদার্স ডে দিন্টিকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রচার করেছিলেন। শেষে ১৯১৩ সালে মার্কিনসংসদে ফাদার্স ডে দিনটিকে ছুটি হিসেবে ঘোষণা করাহয়। ১৯৬৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন জনসন দিনটি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। সেই থেকে পালিত হয়ে আসছে ফাদার্স ডে।
আবার অনেকের দাবি, মধ্যযুগের ক্যাথলিক ইউরোপে ফাদার্স ডে পালিত হত। সেন্ট জোসেফকে বলা হত নিউট্রিটর ডোমিনি। তাঁকে সম্মান জানাতেই পালিত হত ফাদার্স ডে। প্রায় ৮৭ টি দেশে পালিত হয়ে আসছে ফাদার্স ডে। এই তালিকায় রয়েছে ভারত, গ্রেট ব্রিটেন, জাপান, চিন, মায়ানমার, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভিয়েতনাম, ভেনেজুয়েলা সহ আরও কয়েকটি দেশ। প্রতিটি দেশই আলাদা আলাদা ভাবে পালন করে দিনটি। উদ্দেশ্য একটাই, বাবার সুস্বাস্থ্য কামনা করা ও তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন।