
যাদবপুরে ‘পেন ডাউন’ কর্মসূচি, পরীক্ষাই দিলেন না পড়ুয়ারা
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার পেন ডাউন (
Pen Down Protest Jadavpur University) কর্মসূচি পালন করল পড়ুয়াদের একাংশ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ টি এবং সল্টলেক ক্যাম্পাসের ৬টি বিভাগের পরীক্ষায় পেন ডাউন কর্মসূচি পালন করেন প্রথম বর্ষের পোস্ট গ্রাজুয়েট পড়ুয়ারা। জানা যাচ্ছে, পরীক্ষা দেননি অসংখ্য পড়ুয়া। পড়ুয়াদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দেওয়ার মত অবস্থায় নেই। সেই কারণে পরীক্ষা দিতে নারাজ পড়ুয়ারা। কন্ট্রোলার অব এক্সামিনেশন কে ই-মেইল করে প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা পুনরায় নেওয়ার আবেদন।
এসএফআই (SFI) এর বিক্ষোভ মিছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর সামনে থেকে রওনা হয়ে কলেজ স্কোয়ার ঘুড়ে প্রেসিডেন্সির পাশ দিয়ে কলেজস্ট্রিট মোড়ে গিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। ও সেখানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কুশপুত্তলিকা দাহ করে। প্রায় মিনিট দশেক রাস্তা অবরোধ থাকার পরে অবরোধ তুলে নেয় এসএফআই সমর্থকরা। অন্যদিকে মঙ্গলবার এবং বুধবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ডিএসএফ-সহ কয়েকটি অতিবাম ছাত্র সংগঠন। দু’দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্তক্লাস এবং ল্যাবরেটরি বন্ধ রাখার ডাক দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্রাজুয়েটের প্রথম সেমিস্টারের প্রথম দিনে ‘পেন ডাউন’ কর্মসূচি পালন করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০টি বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা। জানা যাচ্ছে, পরীক্ষা দেননি অসংখ্য পড়ুয়া। ২৪টি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস এবং ৬টি সল্টলেক ক্যাম্পাসের বিভাগ। পরীক্ষা যাতে পিছিয়ে পুনরায় নয়া সূচি করা হয় তার জন্য ফেটসুর ইমেইল করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামককে।
সোমবার রাতের জিবি বৈঠকের পর বেশ কয়েকটি দাবি উঠেছে। ছাত্রদের সিদ্ধান্ত, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে এসে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়কেই আহত ছাত্রদের চিকিৎসার খরচও বহন করতে হবে। যাদের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলে তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ দায়ের করার ব্যবস্থাও করতে হবে কর্তৃপক্ষকেই। উপাচার্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্যাম্পাসে না এলে আগামিদিনে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার হুমকি দিয়েছেন ছাত্রেরা।