
‘ছাত্রসুলভ নয়’ ! কলকাতা টিভিকে সাক্ষাৎকারে জানালেন উপাচার্য
কলকাতা: বুধবার সকালেও অবস্থান ধরনা রয়েছেন যাদবপুরের (Jadavpur University Agitation) আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে (Jadavpur University VC Bhaskar Gupta) নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া দিলেন আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা। বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পড়ুয়ারা। সেই আবহেই উপাচার্য জানালেন, পড়ুয়াদের আচরণ ‘ছাত্রসুলভ নয়’, তা সত্ত্বেও তিনি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ‘কথা বলতে রাজি’ আছেন। কলকাতা টিভিকে ফোন ভাস্কর গুপ্ত জানান, শারীরিক ভাবে তিনি খুবই অসুস্থ। তাই আজ বুধবার ক্যাম্পাসে যাবেন না তিনি। আপাতত ডাক্তারি পরামর্শে সম্পূর্ণ রেস্টে আছেন। সুস্থ হয়ে ডাক্তারি পরামর্শে ক্যাম্পাসে যাবেন তিনি।
ছাত্রছাত্রীদের ডেডলাইন বেঁধে দেওয়ার প্রসঙ্গে যাদবপুরের উপাচার্য বলেন, আমি নিজেই হেনস্থার স্বীকার হয়েছি। তা সত্ত্বেও আমি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে সবসময়ই প্রস্তুত। আমরা সবাই চাই যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। আমি নিজে অনলাইনে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মিটিং করেছি। কিন্তু এইভাবে সময়সীমা বেঁধে দেওয়াটা কি ঠিক? যারা এটা করছেন তাদের মানবিকতা নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে। এইভাবে একজন অসুস্থ মানুষের উপর চাপ সৃষ্টি করা একেবারেই উচিত নয়। পড়ুয়াদের ছাত্রসুলভ আচরণের প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আমি সর্বদা ছাত্রদের পাশে রয়েছি। আমি তাদের সন্তানের মতো ভালবাসি। আমি যখন হাসপাতালে ছাত্রদের দেখতে গেলাম, তখন যে আচরণ তারা করলেন আমায় হেনস্থা করলেন, সেই বিষয়টার উল্লেখ নেই কেন? তাঁদের বক্তব্যে। আলোচনার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশের প্রয়োজন। তা ছাত্রদের ফিরিয়ে আনতে হবে। ভাস্কর গুপ্ত বলেন, “আমার কাছে এখনও কোনও প্রস্তাব আসেনি আলোচনার জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে। সেই প্রস্তাব পেলে আমি নিশ্চয়ই ভাবব। কি ভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রস্তাব দেয় সেটাও বড় বিষয়। একজন অসুস্থ মানুষের উপর এভাবে চাপ সৃষ্টি করা উচিত নয়। দুঃখজনক ভাবে আমি ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছি। সেই বিষয়টাও তাঁদের বোঝা উচিত।