হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই বালুর ১০ দিনের হেফাজত
কলকাতা: কথা মতোই কাজ হল। মেডিক্যাল বোর্ড সন্ধেবেলায় জানিয়েছিল, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriyo Mallik) যা শারীরিক অবস্থা তাতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া যায়। এদিকে আদালত জানিয়েছিল, হাসপাতাল ছাড়লেই তাঁকে হেফাজতে নিতে পারবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রাত ৯টা ৫৮ মিনিটে বাইপাসের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান বালু। এর পর তাঁকে ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১০টা ৭ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে বালুকে নিয়ে পৌঁছন ইডির আধিকারিকেরা। আদালতের নির্দেশে, এ বার মন্ত্রীর ১০ দিনের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শুরু হল।
গত বৃহস্পতিবার টানা ২১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি চালানোর পর ইডি জ্যোতিপ্রিয় ওরফে বালুকে তাঁর সল্টলেকের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে (Ration Distribution Case) নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর। মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে কয়েকদিন আগে গ্রেফতার করে ইডি রেশন দুর্নীতি মামলায়। তাঁকে জেরার সূত্রেই উঠে আসে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রীর নাম।
শুক্রবার জোকা ইএসআই হাসপাতালে মেডিক্যাল চেকআপের পর বালুকে সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। তখন পর্যন্ত তিনি সুস্থই ছিলেন। কিন্তু বিচারক তনুময় কর্মকার দশদিনের জন্য ইডি তাঁকে ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিতেই এজলাসে চেয়ারে বসে থাকা অবস্থায় জ্ঞান হারান শাসকদলের এই দাপুটে মন্ত্রী। তাঁকে বিচারকের এসি চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালত নির্দেশ দেয়, আপাতত পরিবারের পছন্দমতো হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। পরে সুস্থ হলে ইডি মন্ত্রীকে হেফাজতে নেবে। ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকেই বালুকে এসি অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে আইসিসিইউতে রেখে চিকিৎসা করা হয়। আদালতের নির্দেশ মেনে গঠিত হয় মেডিক্যাল বোর্ড। আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছিল, মন্ত্রীকে কমান্ড হাসপাতালে (Command Hospital) নিয়ে যেতে হবে।