Placeholder canvas
কলকাতা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ |
K:T:V Clock

Konark Sun Temple | জানুন কোনারকের সূর্য মন্দিরের অজানা কথা 

Updated : 5 May, 2023 2:19 PM
AE: Hasibul Molla
VO: Soumi Ghosh
Edit: Monojit Malakar

একদিকে প্রকাণ্ড ইতিহাস (History), অন্যদিকে রহস্য ও অলৌকিক নানান কাহিনির সংমিশ্রণ। এই দুইয়ের মাধ্যমেই উঠে আসে পুরীর (Pori) সূর্যমন্দিরের নানান কথা।বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেই, বিভিন্ন ধর্মে সূর্যকে দেবতা হিসেবে মানা হয়। তাঁর মন্দিরও রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। তার মধ্যে ভারতে যে মন্দিরের কথা সবার মাথায় আসে, তা হল কোনারকের সূর্য মন্দির।  

ইতিহাস
বিশ্বাস করা হয় যে মন্দিরটি ১ হাজার ২৫৫ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব গঙ্গ রাজবংশের নরসিংহদেব। একে নিমাণ করেছিলেন। মন্দির কমপ্লেক্সটি একটি বিশাল রথের আকৃতি যা বিস্তারিতভাবে পাথরের চাকার, স্তম্ভ এবং দেওয়ালগুলি তৈরি করা হয়েছে।কাঠামোর একটি প্রধান অংশ এখন ধ্বংসাবশেষ। মন্দিরটি একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং ভারতে সাতটি বিস্ময়ের বিভিন্ন তালিকাতেও রয়েছে। কথিত আছে, শ্রীকৃষ্ণের পুত্র শাম্ব এখানে এসে সূর্যদেবের তপস্যা করে হারানো রূপ ফিরে পেয়েছিলেন।

কোথায় অবস্থিত?
পুরী থেকে ৩৫ আর ভুবনেশ্বর থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে কোণার্ক শহরে এই মন্দির। এর আকৃতি রথের মত। ভারতের সাতটি বিস্ময়ের অন্যতম এই মন্দির। বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী স্থান।  এই মন্দির ভারতের ওড়িশা রাজ্যের পুরী জেলার কোনারক শহর অবস্থিত।  

মন্দিরের অজানা কাহিণি 
মন্দিরের সামনে রয়েছে নাটমন্ডপ। এখানে একসময় দেবদাসীরা দেবতার উদ্দেশ্যে পূজানৃত্য পরিবেশন করতেন। মন্দিরের ভিতরে রয়েছে নাটমন্দির,ভোগমন্দির এবং গর্ভগৃহ। মন্দিরটির উচ্চতা প্রায় ৮৫৭ ফুট ।তবে মন্দিরের অনেক অংশ এখন বালিতে দেবে গেছে। মন্দিরের দেউল এখনো ২০০ ফুট উঁচু।উড়িষ্যা এবং দ্রাবিড় স্থাপত্যরীতির সংমিশ্রণে নির্মিত মন্দিরটি ধূসর বেলে পাথরে বিশাল একটি রথের আকারে গড়া হয়েছে। সমুদ্র থেকে উঠে আসা সূর্যদেবের বিশাল রথ,তার সামনে রয়েছে সাত জোড়া ঘোড়া। সাতটি ঘোড়া মানে সপ্তাহের সাত দিন। বারো জোড়া বিশাল চাকার ওপর পুরো মন্দিরটি নির্মিত। চব্বিস্টি চাকা মানে চব্বিশ পক্ষ। চাকার কারুকার্য দর্শকদের জন্য একটি প্রধান আকর্ষণ। প্রতিটি চাকা একেকটি সূর্যঘড়ি। চাকার ভেতরের দাঁড়গুলো সূর্যঘড়ির সময়ের কাঁটা। আটটি দাড়ি মানে অষ্টপ্রহর। এখনো নিখুঁতভাবে সময় জানা যায় এই সূর্যঘড়ির সাহায্যে। মন্দিরের প্রবেশপথেই রয়েছে বিশাল দুটি সিংহের মূর্তি যারা লড়াই করছে দুটি রণহস্তীর সঙ্গে।তাছাড়াও রয়েছে ডানসিং হল ও ছায়াদেবীর মন্দির এবং মায়া মন্দির। প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে মন্দির প্রাঙ্গনে বসে ডান্স ফেস্টিবল। সেএই সময় বহু দূর থেকে ছুটে আসে বহু নৃত্যপ্রেমী মানুষ।