মহাষ্টমীতে বেলুড় মঠে হল কুমারী পুজো
কলকাতা: প্রথা মেনেই মহাষ্টমীর দিন রবিবার সকালে বেলুড় মঠে (Belur Math) কুমারী পুজোর (Kumari Puja) আয়োজন করা হয়। এদিন কুমারী পুজো দেখতে মঠে হাজির হয়েছেন বহু মানুষ। স্বামী বিবেকানন্দ (Swami Vivekananda) ১৯০১ সালে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো শুরু করেছিলেন। সেই রীতি মেনেই বেলুড় মঠের সন্ন্যাসীরা মহাষ্টমীর দিন কুমারীকে দেবী হিসেবে উপাসনা করেন। শ্রীশ্রীঠাকুরের মতে, অল্পবয়সী মেয়েরা যখন কুমারী থাকে সেই সময় জগতের নেতিবাচক শক্তি থেকে তারা দূরে থাকেন। তখনই তাদের মধ্যে মাতৃভাবনা প্রকাশ পায়। ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী বালিকাকেই কুমারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়ে থাকে। প্রতিমাকে জীবন্ত বিগ্রহরূপে পুজো করা হয়। এদিন কুমারী পুজোয় উপস্থিত ছিলেন মঠের বরিষ্ঠ সন্ন্যাসীরা। হাওড়ার বাগনানের বাসিন্দা সীমন্তিনী ঘোষালকে এবার কুমারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তার বয়স ৫ বছর ৭ মাস।
এদিন জয়রামবাটি সহ রামকৃষ্ণ মিশনগুলিতে কুমারী পুজো হয়েছে। সবার মঙ্গল হোক, মা সারদা এমন কথায় সকলের উদ্দেশ্যে বলতেন। তাঁর আশীর্বাদ ও ভালোবাসা সব সন্তানের মধ্যে সবসময় থাকবে। এটাই বারে বারে বিশ্বজননী মা সারদা তার ভক্তদের বলতেন। শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেব স্ত্রী সারদাকে জগৎ জননী, শক্তিরূপে আরাধনা করেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন মা সারদা সাধারণ মা নন। তিনি দুর্গা। সেই বিশ্বজননী জগৎজননী মা সারদার জন্মভিটে জয়রামবাটিতে দুর্গাপুজা শুরু হয় ১৯২৫ সালে। মাতৃমন্দিরে ঘটে শুরু হয় দেবী দুর্গার আরাধনা। প্রায় ৭ বছর পর মূর্তি নির্মাণ করে ধুমধাম করে দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু হয়। এখানে পুজো হয় বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে। বিধি ও তিথি মেনেই দেবী আরাধনা মাতৃমন্দিরে। অষ্টমীতে সকাল ৯ টায় তিথি মেনেই কুমারী পুজো শুরু । এবার কুমারী রূপে পুজিতা তুহিনা ভট্টাচার্য্য। বয়স সাড়ে পাঁচ বছর। বাড়ি কোতুলপুর। মায়ের পুরানো বাড়ি থেকে কুমারীকে নিয়ে আসা হয় দুর্গা মণ্ডপে সেখানেই হয় কুমারী পুজো।