Jalpaiguri TMC | কু-প্রস্তাবের অভিযোগে তৃণমূল থেকে অপসারিত মালের ব্লক সভাপতি
জলপাইগুড়ি: জেলা তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতিকে সরানো হল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। সোমবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা করা হয় মালবাজারে (Malbazar)। সম্প্রতি শহরে ঘটে যাওয়া মাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রিনা বরার তরফে করা অভিযোগ এবং অনশন কর্মসূচি নিয়েই আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। রিনা বরার অভিযোগ ছিল, তৃণমূলের মাল গ্রামীণ ব্লকের সভাপতি সুশীলকুমার প্রসাদের বিরুদ্ধে অশালীন প্রস্তাব দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে। এই জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মহুয়া গোপ, চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়, কো অর্ডিনেটর চন্দন ভৌমিক, মাল পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা, তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী নূরজাহান বেগম, আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি রাজেশ লাকড়া সহ অনেকে।
আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, দলের দুইজন গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীকে নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তার তদন্ত দলের তরফে করা হবে। তদন্ত চলাকালীন সময়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির করা অভিযোগের ভিত্তিতে মাল গ্রামীণ ব্লক সভাপতি সুশীলকুমার প্রসাদ তাঁর পদ থেকে বিরত থাকবেন। আপাতত মাল গ্রামীণ ব্লকের সাংগঠনিক কাজকর্ম দেখবেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক।
এদিকে মাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রিনা বরা এখনও মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে শাসক-বিরোধী দ্বন্দ্ব ক্রমেই বাড়ছে। পাশাপাশি গোষ্ঠীকন্দলের জেরে দল ছাড়ছে অনেকে। শুধুমাত্র শাসকদল নয় বিরোধী দলেও দলীয় কোন্দল বেড়েই চলেছে। দলের ইমেজ ঠিক করতে ইতিমধ্যে ময়দানে নেমেছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ২৫ এপ্রিল থেকে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আগামী ২ মাস ধরে জেলায় জেলায় এই জনসভা থেকে গ্রাম বাংলার মানুষের জনমত নিয়ে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করবে তৃণমূল। তার নেতৃত্বেই রয়েছেন অভিষেক। বিভিন্ন এলাকায় দেখা যাচ্ছে, অভিষেক সভা ছাড়তেই গণ্ডগোল। ব্যালট বাক্স নিয়ে তৃণমূলের দুপক্ষের মধ্যেই চলছে হাতাহাতি। সেই ছবি প্রায়ই দেখা যাচ্ছে রাজ্যজুড়ে। রাজনৈতিক মহলের মতে, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্ব অনেকটাই এফেক্ট করবে। যদিও এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের দাবি, নির্বাচনে সবাই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই লড়াই করবে। তাই কিছু ভুল বোঝাবুঝি থাকলে তা আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়া হবে বলেও দাবি দলীয় নেতৃত্বের।