দেশের দরিদ্রতম মুখ্যমন্ত্রী মমতা, কত সম্পত্তি রয়েছে জানেন?
চলতি বছরের একেবারে শেষ পর্যায় এসে গিয়েছি। আসতে চলেছে আরও একটা নতুন বছর। বছরভর আলোড়ন ফেলেছে একাধিক রাজনৈতিক ঘটনা। দেশবাসী সাক্ষী থেকেছেন রাজনৈতিক পালা বদলের। বছর শেষে কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কত টাকার সম্পত্তি রয়েছে, সে বিষয়ে সোমবার তথ্য প্রকাশ করেছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্ম (এডিআর)। প্রকাশ্যে এসেছে দেশের সবচেয়ে ধনী ও সবথেকে দরিদ্র মুখ্যমন্ত্রীর নাম। শো কোটির সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু (N. Chandrababu Naidu)। সেখানে মাত্র ১৫ লক্ষ টাকার সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে তালিকার একেবারে শেষে জায়গা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)।
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশে মাথা পিছু আয়ের গড় ১ লাখ ৮৫ হাজার ৮৫৪ টাকা। সেখানে দেশের মুখ্যমন্ত্রীদের মাথাপিছু আয়ের গড় ১৩ লাখ ৬৪ হাজার ৩১০ টাকা। এডিআর প্রকাশিত তথ্য সামনে আসতে দেখা গিয়েছে, দেশের দরিদ্রতম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর রয়েছে ১৫ লাখ টাকার সম্পত্তি। দেশের সবচেয়ে ধনী মুখ্যমন্ত্রী হলেন অন্ধ্রপ্রদেশের এন চন্দ্রবাবু নায়ডু। টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবুর মোট ৯৩১ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। মমতার পর দেশের দ্বিতীয় দারিদ্রতম মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদ্দুলা (Omar Abdullah)। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার ৫৫ লক্ষ টাকার সম্পত্তি রয়েছে। ওমরের পরেই রয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan)। তাঁর রয়েছে ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকার সম্পত্তি।
চন্দ্রবাবুর বাবুর পর দেশের দ্বিতীয় ধনী মুখ্যমন্ত্রী অরুণাচল প্রদেশের প্রেমা খান্ডু। তাঁর মোট ৩৩২ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। এর পরেই রয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তাঁর রয়েছে ৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি। উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের রয়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ টাকার সম্পত্তি। বিহারের নীতীশ কুমারের রয়েছে ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার সম্পত্তি। দিল্লির আতিশী মার্লেনারও রয়েছে ১ কোটি ৪১ লাখ টাকার সম্পত্তি। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের রয়েছে ২৫ কোটি টাকার সম্পত্তি। অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মার ১৭ কোটির সম্পত্তি আছে। ত্রিপুরার মানিক সাহার রয়েছে ১৩ কোটির সম্পত্তি।
প্রসঙ্গত, বিরোধী নেত্রী থেকে সাংসদ, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর জীবনযাত্রা অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে একেবারেই আলাদা। দিনের পর দিন যেভাবে টালির চালে জীবন কাটিয়েছেন। তিনি প্রাক্তন সাংসদ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে পেনশন নেন না। মুখ্যমন্ত্রী বা বিধায়ক হিসেবেও নেন না পুরো বেতন। মাসিক মাত্র ১ টাকা বেতন তোলেন। বই এবং গানের রয়্যালটির টাকায় চলেন মমতা। তিনি দেশের দরিদ্রতম মুখ্যমন্ত্রী।