মণিপুরে হিংসা-মহিলাদের নির্যাতনের তদন্তে ৫৩ সদস্যের টিম গঠন সিবিআইয়ের
ইম্ফল: দীর্ঘ তিন মাসের বেশির সময় ধরে উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুর জাতিদাঙ্গার হিংসায় জ্বলছে। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, ধীরে-ধীরে শান্ত হচ্ছে মণিপুর (Manipur)। অশান্তি রুখতে তদন্তের স্বার্থে নজিরবিহীন পদক্ষেপ সিবিআইয়ের। মণিপুরে মহিলাদের যৌন নির্যাতন, ও রক্তক্ষয়ী হিংসা রুখতে তদন্তে ৫৩ সদস্যের টিম তৈরি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। ৫৩ সদস্যের দলের ২৯ জনই মহিলা। যার মধ্যে ডিআইজি পদমর্যাদার দুই মহিলা আধিকারিক রয়েছেন।
সিবিআই সূত্রের খবর, এই প্রথম কোনও তদন্ত প্রক্রিয়ায় এত বিপুল সংখ্যক মহিলা আধিকারিককে নিয়োগ করা হল। টিমে তিনজন ডিআইজি রয়েছে – লাভলী কাটিয়ার, নির্মলা দেবী এবং মোহিত গুপ্তা। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪ মে মণিপুরে মহিলাদের বিবস্ত্র করে হাঁটানো, গণধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের তিনটি ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের। এই ঘটনাগুলির তদন্তে ৫৩ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন ডিআইজি পদমর্যাদার দুই মহিলা আধিকারিক লাভলি কাটিয়ার ও নির্মলা দেবী। পাশাপাশি হিংসার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এছাড়া রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র লুটের তদন্তেও নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী।
হিংসার তদন্তের পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর ঘনশ্যাম উপাধ্যায়। তাঁর অধীনে থাকছেন তিনজন ডিআইজি। এদের মধ্যে দুজনই মহিলা , একজন এসপি। মহিলাদের উপর অত্যাচার সংক্রান্ত মামলাগুলির তদন্তের জন্য ২ জন মহিলা অ্যাডিশনাল এসপি এবং ৬ অন মহিলা ডিএসপিকে নিয়োগ করা হয়েছে। ১৬ জন ইন্সপেক্টর এবং ১০ জন সাব ইন্সপেক্টর থাকছে ওই দলে।
সিবিআই চাইছে তদন্তপ্রক্রিয়ায় যতটা সম্ভব স্থানীয়দের দূরে রাখা হয়েছে। যাতে পক্ষপাতিত্বের কোনও অভিযোগ না ওঠে। এমনকী, যে ৫৩ সদস্যের দল তৈরি হয়েছে, তাতেও মণিপুরের কোনও আধিকারিক নেই। ইতিমধ্যে আটটি মামলা নথিভুক্ত করেছে, যার মধ্যে ৪ মে একটি মহিলাদের বিবস্ত্র করে হাঁটানো, গণধর্ষণ করা দুটি মামলা রয়েছে। সিবিআই মণিপুর সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত আরও নয়টি মামলা তদন্ত করবে।