Placeholder canvas
কলকাতা রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |
K:T:V Clock

Suvendu Adhikari | Calcutta High Court | ১৬ জুন নন্দীগ্রামে সভা, অনুমতি চেয়ে ফের আদালত শুভেন্দু

Updated : 8 Jun, 2023 8:43 PM
AE: Hasibul Molla
VO: Priti Saha
Edit: Silpika Chatterjee

কলকাতা: আগামী ১৬ জুন নন্দীগ্রামে (Nandigram) মিছিল নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ওইদিন মিছিল শেষে সমাবেশ করারও কথা রয়েছে শুভেন্দুর। অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আবেদন করা হলেও এখনও পর্যন্ত জেলা প্রশাসন সেই মিছিল ও সভার অনুমতি দেয়নি। এই কারণেই বৃহস্পতিবার আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিরোধী দলনেতা। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শুক্রবারই শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। 

কয়েকদিন আগেই তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে নন্দীগ্রাম গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চণ্ডীপুর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার হেঁটে নন্দীগ্রামে পৌঁছন অভিষেক। সেখানে এক সভায় তিনি শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ক্ষমতা থাকলে শুভেন্দু এত দীর্ঘ পথ হেঁটে মিছিল করে দেখান। সেদিনই বিরোধী দলনেতা অভিষেকের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ১৬ জুন নন্দীগ্রামে মহামিছিল করার কথা ঘোষণা করেন। মিছিলের পরে সমাবেশও হওয়ার কথা। নন্দীগ্রামে মিছিল এবং সমাবেশের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে জেলা বিজেপি। 

এর আগে বিভিন্ন জেলায় সভা, সমাবেশ কিংবা মিছিল করতে গিয়ে বিরোধী দলগুলিকে প্রশাসনের বাধার মুখোমুখি পড়তে হয়েছে। শুভেন্দুর অভিযোগ, বিশেষ করে তাঁর মিছিল-মিটিংয়ের ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন বাধা দেয় সবচেয়ে বেশি। তাই প্রতিটি ক্ষেত্রেই অনুমতি পেতে তাঁকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়। সম্প্রতি আইনশৃখনলার অজুহাত দেখিয়ে হাওড়ায় বামেদের মিছিল এবং সমাবেশের অনুমতি দেয়নি জেলার পুলিশ ও প্রশাসন। সিপিএম আদালতের দ্বারস্থ হলে শর্তসাপেক্ষে তাদের মিছিল ও সমাবেশ করার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। 

গত ৬ জুন বারাসতের কাছারি ময়দানে বামেরা বিশাল সমাবেশ করে আদালতের অনুমতি নিয়েই। সেখানেও মাঠ সংস্কারের যুক্তি দেখিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পুলিশ বামেদের মিছিলের অনুমতি দেয়নি। তারা নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনেই আবেদন করে এবং মাঠ ব্যবহারের জন্য টাকাও দেয়। এক অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রথমে অনুমতি দিলেও পরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। সিপিএম নেতৃত্ব কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। আদালতের অনুমতি নিয়েই কাছারি ময়দানে সিপিএম সভা করে। বিরোধীদের যুক্তি, সভা, সমিতি করা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। তাদের প্রশ্ন, এর জন্য বারবার কেন আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে।