Patna Meeting | মহাবৈঠকে যোগ দিতে আজই পাটনায় মমতা-অভিষেক, রাহুলের আগমনের অপেক্ষায় ফুটছে কংগ্রেস
পাটনা: সেজে উঠেছে পাটলিপুত্র। যাঁরা হঠাৎ করে এসে পড়েছেন এ শহরে, দেখলে চিনতে পারবেন না। গোটা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় পোস্টার, ব্যানার, হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গিয়েছে। যেন আজ বাদে কাল ভোট হতে চলেছে পাটনায়। রাহুল গান্ধীকে স্বাগত জানাতে সাজসাজ রব কংগ্রেস কার্যালয়ে। অফিসে পড়েছে নতুন রংয়ের পোঁচ। ঝকঝকে করে সাজানো হয়েছে অফিস চত্বর। কংগ্রেস সমর্থকদের জন্য বসেছে বিরাট ম্যারাপ। বিমানবন্দর থেকেই রাহুল এবং মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে স্বাগত জানিয়ে আনার প্রস্তুতি চলছে। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার থেকেই পাটনা যেন মহোৎসবের প্রহর গুনছে।
এদিনই বিকেলের মধ্যে পাটনায় পৌঁছে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিমানবন্দরে নেমেই সোজা অসুস্থ লালুপ্রসাদ যাদবকে দেখতে তাঁর বাড়িতে যাবেন মমতা। সেখানে থাকতে পারেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। বুধবার রাতে লালুপ্রসাদ একপ্রস্থ আলোচনা করে নেন শরিক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। নীতীশের বাড়িতে এসে প্রায় আধঘণ্টা কথা বলেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, শরীর ঠিক থাকলে শুক্রবারের মহাবৈঠকে হাজির থাকতে পারেন লালু।
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সরকারি বাসভবন এক আনে মার্গে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বৈঠক চলবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও তার আগেই রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে পাটনায় নেমেই রাজ্যের দলীয় নেতাদের সঙ্গে জোট বিষয়ে মতামত জেনে নেবেন। আসন সমঝোতা এবং প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসেবে নেতা বাছাই নিয়েও কথা হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
পটনার সর্বত্র এই মুহূর্তে রাহুল গান্ধীর মুখ! নরেন্দ্র মোদি সরকারকে উৎখাত করে দেশ বাঁচানোর ডাক দিয়ে রাহুলকেই কাণ্ডারি হিসেবে তুলে ধরেছে কংগ্রেস। উল্লেখ্য, ঠিক এই সময়েই বিহারের রাজধানী শহরে আবার হচ্ছে জি-২০ বৈঠক। দুই সম্মেলন উপলক্ষে ভিআইপি-দের আনাগোনা সামলাতে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রয়েছে পাটলিপুত্র। বিভিন্ন রাস্তায় চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ও যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে আজ থেকেই। মমতা ছাড়াও অন্যান্য দলের নেতারও আগমন শুরু হবে আজই।
বিরোধী শিবিরের সেনাপতিরা আসার আগেই বৈঠকের শহরে এখন রীতিমতো পোস্টার-যুদ্ধ! সেই যুদ্ধে এগিয়ে কংগ্রেস। বাংলা যখন পঞ্চায়েত ভোটের উত্তাপে ফুটছে, বিহার কংগ্রেসের তৈরি পোস্টারে একসঙ্গে চোখে পড়ছে রাহুল গান্ধী, মমতা এবং সীতারাম ইয়েচুরির মুখ! বাংলায় যে তিন দল পরস্পরের যুযুধান, জাতীয় স্তরের বাধ্যবাধকতায় তাদেরই এমন ‘সহাবস্থান’ চোখ টানার মতোই! আম আদমি পার্টি (আপ) আবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ‘দেশ কা লাল’ আখ্যা দিয়ে পোস্টার-দৌড়ে নেমেছে।