গরমে সারা শরীরে র্যাশ! এই ৫টি ভুল কখনই নয়
হেলথ টিপস: গরমে নাজেহাল অবস্থা সকলেরই। তীব্ৰ গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যেসব উপদ্রবগুলো আমাদের শরীরে অস্বস্তি তৈরি করে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে র্যাশ (Rash) এবং ঘামাচির উৎপাত (Skin Problems)। কাজে-কর্মের জন্য রোদ্দুরে বেরোতেই হয়।
চিড়বিড়ানি গরম খানিকক্ষণ সহ্য করার পরেই শরীরের যেসব অংশে রোদ লাগছে সেই অংশগুলো লাল হয়ে যায়। ওই জায়গায় চুলকানি তো হয়ই, সেখানে আবার ঘাম পড়লে জ্বালাও করে। শরীরের চাপা অংশে ঘাম জমে ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। ভ্যাপসা গরমে এই ধরণের সমস্যার ঝুঁকি থেকে কীভাবে নিরাময় সম্ভব, জেনে নিন-
চুলকাবেন না: শরীরের যেখানে র্যাশ বা ঘামাচি হয়েছে সেখানে নখ দিয়ে চুলকাবেন না। এতে আরও বেড়ে যাবে এবং অনেক সময় তা থেকে রক্তও বের হতে থাকে, যার কারণে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। ওই জায়গায় অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে দিতে পারেন। র্যাশ, হিট র্যাশ ইত্যাদি অনেক সমস্যা থেকে মুক্তির পাশাপাশি অ্যালোভেরার শীতল প্রভাব আপনাকে তাৎক্ষণিক স্বস্তি দেবে।
জামা-কাপড়ের বিশেষ যত্ন: গ্রীষ্মের মরশুমে আরামদায়ক পোশাক পরা ভালো। এই সময় চিকিৎসকরাও সুতির পোশাক পরতে বলেন। এটি ঘাম শোষণ করে, এর ফলে র্যাশ বা চুলকানি দেখা দেয় না। অফিস, কলেজ বা কোথাও যাওয়ার সময় বেশি চাপা জিন্স পরবেন না। ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।
স্নান: এই গরমে শুধু ঘামাচিই নয়। ছত্রাক-সহ অন্যান্য জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকিও থাকে। তাই নিয়ম করে দিনে দু’বার স্নান করা জরুরি।
সানস্ক্রিন: গরমে সানস্ক্রিন ছাড়া বাইরে একেবারেই বেরোবেন না। তবে ত্বকে সংক্রমণ হলে নিজে থেকে স্টেরয়েড জাতীয় ক্রিম কিনে ব্যবহার করবেন না। এতে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চড়া মেকআপ নয়: মেকআপ আপনার ত্বককে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কারও কারও মুখে বা ঘাড়ে র্যাশ-ঘামাচি দেখা যায়। আপনার যদি এই সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ভারী মেকআপ করবেন না। ত্বক যতটা সম্ভব মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।