Mohammed Salim | TMC | টাইগার না বেড়াল জানি না, রয়্যাল তো বটেই, অভিষেককে নিশানা সেলিমের
কলকাতা: টাইগার না বেড়াল জানি না, তবে রয়্যাল তো বটেই। নইলে যে ভাবে সিকিউরিটি নিয়ে ঘোরে, বাড়িতে এসকালেটর, বিদেশে ঘুরতে যায় সবই তো রাজকীয়। রাজারাজড়ারা আজ নেই কিন্তু সেই ধারা বজায় রয়েছে। এই ভাষাতেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
রবিবার আলিপুরে সিপিএমের একটি দলীয় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। ওই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এদিনই মঞ্চে বক্তৃতা দিতে উঠে অভিষেককে সিবিআইয়ের জেরা করা নিয়ে একাধিক মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে নাম না করেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলকেও কড়া ভাষায় কটাক্ষ করেন সেলিম।
এদিনের সভা থেকে সেলিম অভিষেক-মমতার পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক ইস্যু নিয়ে সরব হন। লাইব্রেরিতে কোন কাগজ থাকবে কোন কাগজ থাকবে না সে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর করা মন্তব্যকে তিনি অহমিকা বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই অহমিকা আসে ক্ষমতা আর হিংসা থেকে। তাঁর মতে, মুখ্যমন্ত্রী সব ক্ষমতা গ্রাস করতে চান। তিনি বলেন, আজকে রাজ্যের যত সরকারি গ্রন্থাগার রয়েছে সেগুলি সব বন্ধ। কারণ লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ হয় না। আর গ্রন্থাগারগুলি বই কিনতে চাইলেও শুধু মাত্র ম্যাডামের লেখা বই কিনতে হবে।
এরপর বঙ্কিমচন্দ্রের উদ্ধৃতি টেনে বলেন যে, মা যা ছিলেন, মা যা হইয়াছেন, আর মা যা হইবেন, সেরকমই মা মাটি মানুষদের শুরু হয়েছিল একরকম। কিন্তু এখন এলোমেলো করে দেওয়ার এবং লুটেপুটে খাওয়ার ব্যবস্থা শুরু হয়েছে, এই লুটপাট আমাদের শিক্ষা, সম্পদ, পরিবেশকে কতটা প্রভাবিত করেছে সেটা আমাদের জানা দরকার। এরপর তিনি আরও বলেন, সমাজে দুই শ্রেণির মানুষ আছে। এক শ্রেণি লোন নেয় বাড়ি কিনতে আর এক শ্রেণি বাড়ি কেনে টাকা রাখতে। এখন লুটের রাজত্ব চলছে।
এদিকে রবিবার বহরমপুর কংগ্রেস দলীয় কার্যালয়ে থেকে অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচির কটাক্ষ করে বলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। নবজোয়ার কর্মসূচিতে যে খরচ করা হচ্ছে, তা সরকারি টাকা। একেই সঙ্গে এই কর্মসূচিতে হওয়া সমস্ত খরচের হিসেবে সামনে আনার দাবি তুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, নবজোয়ার কর্মসূচি সফল করার জন্য এই দল কোথা থেকে টাকা পেল, সেটা জানলে সবাই খুশি হবেন, বলেছেন বহরমপুরের সাংসদ। এছাড়াও সিবিআইয়ের অভিষেককে জেরা আসলে মোদি-দিদির লুকোচুরি খেলা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।