
জোড়া ভূমিকম্পে ধূলিসাৎ মায়ানমার! পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস মোদির
মাত্র সাত মিনিটের ব্যবধানে জোড়া ভূমিকম্প (Earthquake)। এর জেরে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মায়ানমার (Myanmar) ও থাইল্যান্ডের (Thailand) বিস্তীর্ণ অঞ্চল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৭, কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল মায়ানমারের মান্ডলয়, মাটির ১০ কিলোমিটার নিচে। অর্থাৎ, এটি ছিল অন্যতম প্রবল ভূমিকম্প। তাই এদিনের কম্পনে অনেক বহুতল, সেতু ও রাস্তাঘাট হুড়মুড়িয়ে ভেঙে ধুলোয় মিশে গিয়েছে। প্রাণহানির সংখ্যা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কোনও তথ্য না মিললেও অন্তত ৪৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
মায়ানমার বা থাইল্যান্ডের এই বিপর্যয়ের পর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডের ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সকলের নিরাপত্তা এবং সুস্থতা কামনা করছি। সম্ভাব্য সমস্ত রকম সহায়তা প্রদানের জন্য ভারত প্রস্তুত।” এছাড়াও, ভারতের বিদেশ মন্ত্রককে মায়ানমার ও থাইল্যান্ড সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিট নাগাদ প্রথম কম্পন অনুভূত হয়। এরপর আরও একজোড়া শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের প্রভাব শুধু মায়ানমারেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের বিস্তীর্ণ এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শহরের একাধিক বহুতল ভবন ধসে পড়েছে, আতঙ্কে রাস্তায় নেমে এসেছেন মানুষ।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মায়ানমারের একাধিক সেতু ভেঙে পড়েছে, ব্যাঙ্ককে নির্মীয়মান বহুতল ভবন ধসে গিয়েছে, এবং হেলে পড়েছে বিভিন্ন ভবন। মায়ানমার ও থাইল্যান্ড সরকার দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভূমিকম্পের ফলে সমুদ্রের ঢেউয়ে বড় কোনো পরিবর্তন হয়নি, তাই সুনামির আশঙ্কা নেই। তবে আফটারশকের ভয় থাকায় লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।