
Rahul Gandhi | রাহুল গান্ধীর আর্জি খারিজ হয়ে গেল
নয়াদিল্লি: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) আর্জি খারিজ। কোনও স্বস্তি মিলল না আদালতে। ফলে সাংসদ পদ আপাতত ফিরে পাচ্ছেন না রাহুল গান্ধী। সুরাত আদালতে রাহুল গান্ধীর আর্জি খারিজ হয়ে গেল। উচ্চ আদালতে যাওয়ার সম্ভাবনা রাহুল গান্ধীর। রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) লোকসভার (Loksva) সদস্য পদ ফিরে পাবেন কি না বৃহস্পতিবার সেই বিষয়ে রায় দিতে পারে সুরাত (Surat) দায়রা আদালত, এমনই মনে করা হচ্ছিল। সেখানে তাঁর আর্জিই খারিজ হয়ে গেল। এমনই আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন। লোকসভার সদস্য পদ চলে যাওয়া নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। গত ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla) রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেছিলেন।
এর আগে সুরাতের জেলা দায়রা আদালতের বিচারক রবীন মগেরা সওয়াল শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন। মোদি পদবী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সুরাতে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (Surat Sessions Court) কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে দু’বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেয়। বিচারক বলেন, যে রাহুল গান্ধী তার বক্তব্যের মাধ্যমে মোদী উপাধির সব ব্যক্তিকে অপমান করেছেন।সাজার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুরাতের জেলা দায়রা আদালতে আবেদন করেছিলেন রাহুল। কংগ্রেস নেতার মামলার শুনানি হলেও রায় স্থগিত রাখে আদালত।২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্নাটকের (Karnataka) কোলারে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুলকে ২ বছর জেলের সাজা দিয়েছিল। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদী অপরাধমূলক মানহানির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে গত ৩ এপ্রিল সুরাতেরই দায়রা আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন। বিচারক আরপি মোগেরা তা গ্রহণ করে জামিন বহাল রাখার নির্দেশ দেন। তবে সে দিন দায়রা আদালত রাহুলকে দোষী ঘোষণা করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মার রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয়নি। দায়রা আদালতের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়ের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ পাওয়ার জন্য রাহুলের তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল। খুনের চেষ্টার অভিযোগে নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত লাক্ষাদ্বীপের এনসিপি সাংসদ মহম্মদ ফয়জ়ল সম্প্রতি লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পেয়েছেন। কারণ কেরল হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। আদালতে শুনানির সময় রাহুল গান্ধীর আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন, মানহানি আইন অনুসারে, কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে অপ্রীতিকর মন্তব্যের জেরে মানহানি হলে, সেই ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান ফৌজদারি বা মানহানির মামলা (Defamation Case) দায়ের করতে পারে। কিন্তু এই মামলায় দেখা গেছে মোদি পদবীধারীদের মানহানি হয়েছে বলে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যিনি মামলা করেছেন তাঁকে কিছুই বলা হয়নি।