Placeholder canvas
কলকাতা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ |
K:T:V Clock

Tourist Spot | পাহাড়ের কোলে দুই ভাইবোন টুমলিং আর টংলু আছে, ছুটিতে সেখানে যাবেন?

Updated : 20 Apr, 2023 2:37 PM
AE: Samrat Saha
VO: Soumi Ghosh
Edit: Monojit Malakar

তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা বঙ্গবাসীর। রীতিমতো নাভিঃশ্বাস ওঠার জোগাড়। এদিকে গরমের ছুটিও এগিয়ে আসছে। ছুটিতে নিশ্চয়ই ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করেছেন? কিন্তু কোথায় যাবেন এই গরমে। ভ্রমণপিপাসু বাঙালির চিরকালীন পছন্দের জায়গা দিপুদা। অর্থাৎ দিঘা পুরী দার্জিলিং। কিন্তু একই জায়গায় বার বার যেতে অনেকেরই ভালো লাগে না। তাই ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য রইল গরমকালে ঘুরতে যাওয়ার সেরা ডেস্টিনেশনের সন্ধান। এবার আপনি সপরিবার বা বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে যেতে পারেন টংলু আর টুমলিং। আতুসী প্রকৃতির রূপই মুঠোর প্রজাপতির মতো উড়িয়ে নিয়ে যায় মনকে, পাইন বনের ফাঁকে।

দার্জিলিংয়ে মানেভঞ্জন থেকে সান্দাকফু যাওয়ার পথে পড়ে এই টংলু গ্রাম। পাহাড়ের ১০,১৩০ ফুট উচ্চতায় এই ছোট্ট গ্রাম। সান্দাকফু যাওয়ার পথে মূলত ট্রেকার্সরা এই গ্রামে রাতে থাকেন। তবে সঙ্গে বাচ্চা বা বয়স্ক ব্যক্তি থাকলে এড়িয়ে যাওয়াটাই মঙ্গল। সমতলে যখন গরমকাল তখনও টংলুতে এতটাই ঠাণ্ডা যে সোয়েটার পরতে হয়। বেশ অন্যরকম অনুভূতি হবে।

এক অপূর্ব মায়াবী জায়গা এই টুমলিং। কুয়াশায় মোড়া চারদিক। যদি পাহাড় দেখতে চান তবে টুমলিং আর টংলুর বিকল্প হয় না। ভারত ও নেপাল সীমান্তবর্তী এই নিরিবিলি গ্রাম। একাধিক হোম স্টে ও লজ রয়েছে। শীতকালে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের কাছাকাছি চলে যায়। টুমলিং থেকে সান্দাকফু মোটামুটি ১৯ কিমি।

দেখে মনে হবে, পাহাড়ের কোলে যেন দুই ভাইবোন টুমলিং আর টংলু। আকাশ যদি পরিষ্কার থাকে আর ভাগ্য যদি সহায় থাকে তবে আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা পেতে পারেন। হোমস্টের বারান্দায় বসে গরম গরম মোমো খান। আর মন ভরে পাহাড় দেখুন।

তবে বর্তমানে এখানে যাতায়াতের এখন অনেকটাই সুবিধা হয়ে গিয়েছে। মেঘমা পর্যন্ত গাড়িতে আসা যায়। আর সেখান থেকে মোটামুটি ২ কিমি ট্রেক করে যেতে হয় টংলু। পরের গ্রামটা টুমলিং। সেটা আরও প্রায় ২ কিমি দূরে টুমলিং। অপূর্ব সুন্দর দুই গ্রাম। আর এই এপ্রিল মে তে যদি যান তবে তো রাস্তার দুদিকে রোডোডেনড্রন আপনাকে স্বাগত জানাবে।

কীভাবে যাবেন? শিলিগুড়ি থেকে মিরিক হয়ে মানেভঞ্জনের দূরত্ব প্রায় ৭৫ কিমি। সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে চলে আসতে পারেন। দার্জিলিং থেকে ঘুম হয়ে মানেভঞ্জন পর্যন্ত দূরত্ব মোটামুটি ২৫ কিমি। এনজেপি থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে আসতে পারেন এই দুই গ্রামে রাস্তা কিছুটা খাড়াই। বছরের বেশিরভাগ সময়ই কুয়াশা থাকে। তবে পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার যে ভরপুর অনুভূতি সেটা বুঝতে পারবেন। আর যারা একটু অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন তাঁদের জন্য অত্যন্ত প্রিয় এই দুই জায়গা।