Tourist Spot | হাতে মাত্র দু’দিনের ছুটি, ঘুরে আসুন কলকাতার কাছে এই জায়গাগুলি থেকে
কলকাতা: ঘুরতে যেতে আমরা কে না ভালোবাসি! উইকেন্ড হোক বা ছুটির দিন, সপরিবারে ঘুরতে (Travel) যাওয়ার মজাই আলাদা। প্রকৃতির সৌন্দর্যকে উপেক্ষা করার ক্ষমতা আমাদের কারোরই নেই। তবে সদা ব্যস্ত এই জীবনে বাড়ির কাজ, অফিসের কাজ সামলাতে সামলাতে একেবারে নাজেহাল অবস্থা। ঘুরতে যাওয়ার কথা তো প্রায় ভুলতেই বসেছেন সবাই। চিন্তা নেই, যারা দু-একদিনের ছুটিতে কলকাতার (Kolkata) কাছাকাছি নানান ট্রাভেল ডেস্টিনেশনে (Travel Destination) ঘুরতে যেতে চান, তাঁদের জন্যই আজকের এই প্রতিবেদন-
গোলপাতার জঙ্গল- সুন্দরবনে না গিয়েও যদি আপনি সুন্দরবনের অনুভূতি পেতে চান তাহলে আপনাকে যেতে হবে গোলপাতার জঙ্গলে। উত্তর ২৪ পরগণার টাকিতে অবস্থিত এই জায়গার পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে ইছামতী নদী। আর নদীর ওপারেই রয়েছে বাংলাদেশ। আপনি চাইলে নৌকা করে বাংলাদেশের কাছে যেতে পারেন। তবে নিজের পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে যাবেন কিন্তু। গোলপাতার জঙ্গলে যেতে হলে আপনি শিয়ালদহ থেকে লোকাল ট্রেন ধরে টাকি রোড স্টেশনে চলে যান। এরপর সেখান থেকে অটো অথবা রিক্সা ধরে গোলপাতার জঙ্গল।
পিয়ালি আইল্যান্ড- আপনি যদি শান্ত-নিরিবিলি কোনও জায়গায় কয়েকটা দিন কাটাতে চান তাহলে পিয়ালি আইল্যান্ডে চলে যান। মাতলা আর পিয়ালি নদীর মাঝে অবস্থিত এই আইল্যান্ডে যেতে হলে আপনাকে শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে ধরে ক্যানিং যেতে হবে। এরপর ট্রেকার করে হেরোভাঙা হয়ে পিয়ালি আইল্যান্ডে চলে যেতে হবে।
আছিপুর- বজবজের কাছাকাছি এই জায়গায় চাইনিজরা থাকেন। শোনা যায়, এটা ভারতের সবচেয়ে প্রথম বড় কলোনি। আপনার যদি চাইনিজ সংস্কৃতি এবং খাবারে আগ্রহ থাকে তাহলে আছিপুর চলে যেতে পারেন। এখানে যেতে হলে শিয়ালদহ থেকে ট্রেন ধরে বজবজ যেতে হবে। এরপর সেখান থেকে অটো ধরে আছিপুর।
চিন্তামণি কর বার্ড স্যাংচুয়ারি- এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁরা পশু-পাখি খুব ভালবাসেন। আপনিও যদি পাখিপ্রেমী মানুষ হন তাহলে এই জায়গাটি আপনার জন্য একেবারে আদর্শ। এখানে গেলে বিভিন্ন ধরণের পাখির পাশাপাশি ফার্ন, অর্কিড, প্রজাপতি দেখতে পাবেন। চিন্তামণি কর বার্ড স্যাংচুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগণার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের কাছে রথতলা বাসস্টপ থেকে হেঁটে ১৫০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত।
চন্দ্রকেতুগড় – কলকাতার কাছাকাছি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক পর্যটন স্থান হল চন্দ্রকেতুগড়। এখানে প্রায় ২৫০০ বছর পুরনো চন্দ্রকেতু সাম্রাজ্যে ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাবেন। এছাড়া এখানে টেরাকোটা মন্দির, তামার মূর্তি, মুদ্রা রয়েছে। এখানে যেতে হলে শিয়ালদহ থেকে ট্রেন ধরে বারাসাত যেতে হবে। এরপর সেখান থেকে দেগঙ্গা।